
পারথ: এমনটা কি কোনও ক্রিকেট প্রেমী ভেবেছিলেন, যে পারথে বোলাররা তিনটে ইনিংসে রাজ করেছেন, সেই পারথেই চতুর্থ ইনিংসে সব ওলটপালট করে দেবেন এক ব্যাটার? মাত্র ২ দিনে শেষ অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড (Australia vs England) প্রথম টেস্ট! অজিদের জয়ের নেপথ্যে ট্রাভিস হেড (Travis Head)। অজি ওপেনার হেড প্রায়শই চেষ্টা করেন এই ম্যাজিকটা দেখানোর। তাঁর ব্যাটে ভর করেই পারথ টেস্টে অজিরা জিতল ৮ উইকেটে। অ্যাসেজের পারথ টেস্টে ৪টে ইনিংসে নজর রাখলে দেখা যাবে দুটো মাত্র হাফসেঞ্চুরি। আর জ্বলজ্বল করছে হেডের ৮৩ বলে ১২৩ রানের রেকর্ড গড়া একটা ইনিংস।
পারথে অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত ব্যাটিং অজি ওপেনার ট্রাভিস হেডের। স্টোকসদের বিরুদ্ধে শতরানে পৌঁছতে হেডের লাগল মাত্র ৬৯ বল। অ্যাসেজের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। হেডের আগে এই তালিকায় রয়েছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তিনি ২০০৬ সালে ৫৭ বলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছেছিলেন। তাঁর আগে ১৯০২ সালে গিলবার্ট জোসেপ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাসেজ টেস্টে ৭৬ বলে শতরান করেছিলেন। হেড এ বার গিলবার্টকে ছাপিয়ে গেলেন।
পারথে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করেছিল। সেখানে দ্বিতীয় দিন ১৩২ এ অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে থামে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। আর তিনি ছাড়া ইংল্যান্ডের ৪টি ও ৩টি উইকেট নেন যথাক্রমে স্কট বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেট। পারথ টেস্ট জয়ের জন্য স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়ায় ২০৫। সেখানে জ্যাক ও ট্রাভিসের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭৫ রান। ব্রায়ডন কারস ১১.৩ ওভারে ফেরান জ্যাককে (২৩)। এরপর মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হেড। দ্বিতীয় উইকেটে হেড ও লাবুশেন ১১৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১২৩ রানে হেড ফেরেন। তাঁর উইকেটটিও নেন কারস। লাবুশেন ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন আর ক্যাপ্টেন স্মিথ ২ নটআউট। এই জয়ের ফলে অ্যাসেজ সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল অজিরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা স্টার্ক।