কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) চিপক টেস্ট জমে উঠছে। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুর এক ঘণ্টাতেই বাংলাদেশের দাপট নজরে পড়ল। এক, দুটি নয় এক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের মোট ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন টাইগার্সরা। প্রিয় কভার ড্রাইভের লোভেই উইকেট খুইয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)! তাঁর আউটের ক্ষেত্রে এমনই বলা যায়। প্রথম ডেলিভারি থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। শাফল করে খেলছিলেন। সফ্ট হ্যান্ড ব্যবহার করছিলেন। যা দেখে ধারাভাষ্যে অভিষেক করা বাংলাদেশের কিংবদন্তি ব্যাটার তামিম ইকবাল প্রশ্ন করেই ফেললেন রবি শাস্ত্রীকে। ভারতের কোচ হিসেবে দীর্ঘ সময় বিরাট সাফল্যের অংশ ছিলেন শাস্ত্রী। তামিম জানতে চান, বিরাটের কাছে সেট হওয়া মানে কী? বেশ কিছু ডেলিভারি সামলে দেওয়া নাকি কতটা রান করল সেটা। শাস্ত্রী জানান, বিরাটের কাছে পিচ-পরিস্থিতি বিষয় নয়। ও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলে। যদি মনে হয়, ডিফেন্স করতে হয়, করবে, মারার হলে মারবে।
শাস্ত্রী-তামিম প্রশ্নোত্তর-পর্ব শেষ হতেই অঘটন। কভার ড্রাইভের লোভ সামলাতে পারলেন না কিং কোহলি। বিরাট কোহলির কভার ড্রাইভ দেখার মতোই বিষয়। তবে এই চিপকে এবং ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টায় অন্তত নয়। হাসান মাহমুদ সেই লোভ-টাকেই কাজে লাগালেন।
অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারি হলে বিরাট যে কভার ড্রাইভের চেষ্টা করবেন, অজানা নয়। কিন্তু চিপকের এই পিচে বাউন্স তুলনামূলক বেশি। রোহিতের ক্ষেত্রে বল ভেতরে এসেছিল। বিরাটের ক্ষেত্রে বল বাইরে যাচ্ছিল। পাশাপাশি জোরালো ড্রাইভ খেলেছিলেন বিরাট। মেঘলা আবহাওয়া, বাউন্স এবং আউট সুইং। প্রায় ৮ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন সুখকর হল না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৬ বলে মাত্র ৬ রান করে মাঠ ছাড়লেন বিরাট। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের শেষ টেস্ট অর্থাৎ গোলাপি বলে দিন-রাতের ম্যাচে আরও কঠিন পরিস্থিতি ছিল। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ বারের সিরিজের শুরুটা তেমন হল না। কোহলির আগে রোহিত ও গিল যথাক্রমে ৬ ও ০ রানে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।