প্রত্যেককেই একদিন থামতে হয়। ক্রীড়াবিদদের ‘জীবন’ যেন আরও সংক্ষিপ্ত। সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে অনেকটা সময় লাগে। সেখানে খুব বেশিদিন থাকা যায় না। এর পর পুরোপুরি সেই খেলা থেকেই সরে দাঁড়াতে হয়। এমন দিনটা বিরাট কোহলির জীবনেও আসবে। ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছেন বহুদিন। খেলা এখনও ছাড়েননি। হয়তো আরও কয়েক বছর খেলবেন। এরপর কী? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া কঠিন। ভারতীয় ক্রিকেট তথা বিশ্বের সুপারস্টার বিরাট কোহলির মাথাতেও এমন নানা কথা ঘুরছে। কী বলছেন তিনি?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এ বার প্লে-অফে যেতে পারবে কিনা, এখনও নিশ্চিত নয়। তাদের প্রত্যাবর্তনটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল। হার দিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল আরসিবির। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে জয়। এর পর টানা আধ ডজন ম্যাচে হার। পরপর জয়ে দুর্দান্ত ভাবে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে এসেছে তারা। বিরাটদের সামনে শেষ সুযোগ শনিবার। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাদের রান রেট ছাপিয়ে জিততে হবে। তার আগে টিমের একটি ডিনার পার্টি হয়। সেখানেই নানা প্রশ্ন করা হয় বিরাট কোহলিকে।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে ১৫ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। একই রকম তাগিদ নিয়ে কীভাবে খেলতে পারেন? বিরাট বলছেন, ‘খুবই সহজ প্রশ্ন। প্রত্যেক ক্রীড়াবিদেরই কেরিয়ার শেষের একটা যেন ডেডলাইন থাকে। বলতে গেলে, আমি এখন শেষের দিকে এগিয়ে চলেছি। সারাজীবন খেলে যেতে পারব, তা তো সম্ভব নয়।’
মাঠে তাঁর আগ্রসন, বন্ধুত্ব, মজার মুহূর্ত তেমনই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে গত ম্যাচটির কথাই ধরা যাক। দিল্লির বিরুদ্ধে নেমেছিল আরসিবি। দিল্লির সিনিয়র পেসার ইশান্ত শর্মার সঙ্গে বিরাটের বন্ধুত্ব অজানা নয়। ইশান্ত বোলিংয়ে বিরাটকে বিব্রত করার চেষ্টা করেন। বিরাটও ছয় মারেন। আবার তাঁর বলেই আউটও হন। বিরাটকে আউট করে মজায় মেতে ওঠেন ইশান্ত। আবার দিল্লি ইনিংসে ইশান্ত ব্যাটিংয়ে নামার পর তাঁর সঙ্গে মজা শুরু করেন বিরাট কোহলিও। এই মুহূর্তগুলো ক্রিকেট প্রেমীদের বড় প্রাপ্তি।
বিরাট কোহলি কি অবসরের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন? কী আক্ষেপ রয়েছে তাঁর? বিরাট আরও যোগ করেন, ‘কোনও আক্ষেপ রেখে সরে যেতে চাই না। আমি নিশ্চিত, কোনও আক্ষেপ থাকবে না। আমার যখন কিছুই দেওয়ার থাকবে না, মনে হবে আর পারছি না, একেবারে ছেড়ে দেব। সব কিছু থেকে দূরে সরে যাব। আমাকে দীর্ঘ সময় কেই খুঁজেই পাবে না। যাওয়ার আগে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করতে চাই। এটাই একমাত্র কারণ, এখনও সেই তাগিদ নিয়ে খেলতে পারি।’
ব্যক্তিগত কারণে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলেননি বিরাট কোহলি। প্রায় দু-মাসের ব্রেক থেকে আইপিএলে ফিরেছিলেন। কেমন পারফর্ম করবেন, সে দিকেই নজর ছিল। আইপিএলের এ বারের সংস্করণে এখনও অবধি সর্বাধিক রান তাঁরই। ১৫০-এর উপর স্ট্রাইকরেটে ৬৫০-র বেশি রান।