কলকাতা: ফের এক ভারতীয় ক্রিকেটারের বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙার পথে। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্তানকোভিচের বিচ্ছেদ হয়েছে। এ বছরের শুরু থেকে শোনা যাচ্ছে ভারতীয় তারকা বোলার যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার বিচ্ছেদ হতে চলেছে। তাঁরা গত কয়েক মাস নাকি আলাদাও থাকছেন। তাঁদের এক নিকট সূত্র জানিয়েছেন, যে চাহাল-ধনশ্রীর ডিভোর্সের অফিসিয়াল ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বার এই তালিকায় জুড়তে চলেছে দেশের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগের (Virender Sehwag) নাম। সেওয়াগকে নিয়ে চলছে বিরাট জল্পনা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্যে এ বার ইতি টানতে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ ও তাঁর স্ত্রী আরতি আহলাওয়াত। হঠাৎ করেই বীরুর বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেন ২০ বছরের দাম্পত্য কেন ভাঙছেন নজফগড়ের নবাব?
২০০৪ সালে সেওয়াগ ও আরতির চার হাত এক হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকে তাঁদের পরিচয়। চার বছর পর বিয়ে করেন তাঁরা। অরুণ জেটলির বাসভবনে বিয়ে হয়েছিল বীরু ও আরতির। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে তাঁদের বড় ছেলে আর্যবীরের জন্ম। আর ২০১০ সালে তাঁদের ছোট ছেলে বেদান্তর জন্ম।
এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেওয়াগ ও আরতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, প্রায় এক বছরের বেশি সময় হতে চলল তাঁরা আলাদা থাকছেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খুব একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন না সেওয়াগ। ২০২৪ সালে দিওয়ালির সময় বীরু মা ও বড় ছেলে আর্যবীরকে নিয়ে এক ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিতে তাঁর স্ত্রী আরতি ও ছোট ছেলে বেদান্ত ছিল না। এরপর থেকে নেটিজ়েনদের মনে সন্দেহ দানা পাকতে শুরু করে যে, বীরু আর তাঁর স্ত্রী হয়তো একসঙ্গে থাকেন না। এ বার যা পরিস্থিতি জানা গিয়েছে, তাতে সেই ডিভোর্সের পথেই হয়তো হাঁটতে চলেছেন নজফগড়ের নবাব।