Virender Sehwag : ‘দাদা টয়লেটে গেল…সঙ্গে আমরাও’, সৌরভকে বুদ্ধু বানিয়ে ছেড়েছিলেন সচিন-সেওয়াগ!

Sourav Ganguly : দেখতে শান্তশিষ্ট হলেও সচিন তেন্ডুলকর ছিলেন প্র্যাঙ্কস্টার। সেওয়াগকে সঙ্গে নিয়ে দলের ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বোকা বানিয়ে ছেড়েছিলেন তিনি।

Virender Sehwag : 'দাদা টয়লেটে গেল...সঙ্গে আমরাও', সৌরভকে বুদ্ধু বানিয়ে ছেড়েছিলেন সচিন-সেওয়াগ!
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2023 | 10:30 AM

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে পথচলা শুরু হয়েছে জার্মান সংস্থা অ্যাডিডাসের (Adidas)। আগামী পাঁচবছর পর্যন্ত থাকবে এই চুক্তি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হরমনপ্রীত কৌরদের পরনে অ্যাডিডাসের নয়া জার্সির প্রোমো, ছবি প্রকাশ্যে এনেছে বিসিসিআই। নয়া জার্সি দেখে খুশি সমর্থকরা। এই সংস্থার তৈরি বিশেষ জার্সি পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলবে ভারতীয় দল। আগামী ৭ জুন থেকে শুরু হতে চলা WTC ফাইনালে রোহিতদের গায়ে থাকবে বিশেষ জার্সি। ঠিক এমন সময়ে অ্যাডিডাসের জার্সিকে কেন্দ্র করে এক মজাদার কাহিনী ফাঁস করেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag)। যার কেন্দ্রে তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং জার্মান সংস্থার জার্সি। সৌরভকে পুরোপুরি বুদ্ধু বানিয়ে ছেড়েছিলেন তাঁর দুই সতীর্থ সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও সেওয়াগ। সচিনই ছিলেন মাস্টারমাইন্ড, সঙ্গ দেন বীরু। জার্সি কী সেই ঘটনা? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্সে সাক্ষাৎকার দিতে বসে সেওয়াগ জানান, পুরো প্ল্যানটাই ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী, সৌরভ টয়লেটে ঢুকলেই তাঁরা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে নতুন অ্যাডিডাসের জার্সি নিয়ে গল্প করবেন। সেওয়াগ বলেন, “সচিন তেন্ডুলকর এবং আমি অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলাম। একদিন আমরা ওয়াশরুমে গিয়েছি তখনই সচিন বলল, চলো দাদা’র সঙ্গে প্র্যাঙ্ক করি। আমাকেও সঙ্গ দিতে বলে। দাদা ওয়াশরুমে যেতেই আমরা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম।”

সচিন বলা শুরু করেন, “জার্মানি থেকে আসা এই অ্যাডিডাসের টি শার্টগুলো কি ভালো তাই না।” সেওয়াগও সচিনের কথায় সায় দিয়ে বলেন, “সত্যিই খুব ভালো।” এই কয়েকটি কথা বলে দরজার সামনে থেকে সরে আসেন দু’জনে। সৌরভের কানে যে কথাগুলো যাবে তা জানতেন সচিন। এতে ক্যাপ্টেনের প্রতিক্রিয়া কী হয় তা জানার অপেক্ষায় ছিলেন সচিন ও সেওয়াগ। মাস্টার ব্লাস্টারের পরিকল্পনা সফল হয় যখন সৌরভ কিছু না ভেবেই অ্যাডিডাসের স্টোরে ফোন করে বসেন। সচিন ও সেওয়াগকে যেমন টি-শার্ট পাঠানো হয়েছে তাঁকেও সেরকমই টি-শার্ট পাঠানোর কথা বলেন! এরপর কী হয়েছিল তা সেওয়াগ বিশদে না বললেও সচিনের প্র্যাঙ্কে সৌরভ যে বেশ বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছিলেন, তা বলাই বাহুল্য।