হারের হ্যাটট্রিক থেকে ঘুরে দাঁড়াল গুজরাট টাইটান্স। শুধু তাই নয়, চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়েও আপাতত টিকে রইলেন শুভমন গিলরা। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টাইটান্সের ৩৫ রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অধিনায়ক শুভমন গিলের। আইপিএল কেরিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি। তেমনই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে একটি রেকর্ডেও সাক্ষী থাকলেন শুভমন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ অর্থাৎ ২০০৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ওপেনার ম্যাকালাম। সেটিই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি। আইপিএলের শততম সেঞ্চুরি এল প্রিন্স অব ক্রিকেট শুভমন গিলের সৌজন্যে। সেঞ্চুরি, ম্যাচ জয়ের মধ্যেও শুভমনের আক্ষেপ নেট রান রেট।
চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৩২ রানের টার্গেট দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। শেষ অবধি জয় ৩৫ রানে। শুভমন অবশ্য জানালেন, ব্যাটিংয়ে শুরুটা যেমন হয়েছিল, ২৫০ অবধি পৌঁছনো উচিত ছিল। নেট রান রেট আরও একটু বাড়িয়ে নেওয়া যেত। ম্যাচের সেরা শুভমনের কথায়, ‘আমি ও সাই একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছি। শুরুতে কোনও টার্গেট ধরে এগোইনি। চেষ্টা করেছি, সমস্ত সুযোগ কাজে লাগানোর। একটা সময় মনে হয়েছিল, ২৫০ অবধি পৌঁছতে পারি। তেমনই কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। সেটা হয়তো ম্যাচের নিরিখে নয়, তবে নেট রান রেটের ক্ষেত্রে।’
জয়, ম্যাচের সেরার পুরস্কার, নেট রান রেটের আক্ষেপের মাঝে শুভমন গিলের অস্বস্তি বাড়াল ২৪ লক্ষ টাকার জরিমানা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার স্লো-ওভার রেট তাঁর টিমের। ক্যাপ্টেন শুভমনের ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। তেমনই একাদশের (ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ) বাকিদের ৬ লক্ষ টাকা করে জরিমানা হয়েছে।