সব যেন স্বপ্নের মতো। সত্যি হওয়ার অপেক্ষা। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলে হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষের মতো একাধিক পরিচিত মুখ রয়েছে। তাঁদের মাঝে ভুললে চলবে না, আশা শোভানা-শ্রেয়াঙ্কা পাটিল-সজনা সজীবনের কথা। তাঁদের উত্তরণ তাক লাগানোর মতোই। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি, এরই মধ্যে বিশ্বকাপ খেলারও সুযোগ। প্রথম প্রস্তুতি নিয়ে কী বলছেন শ্রেয়াঙ্কারা?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে যেমন ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলে নানা প্লেয়ার উঠে এসেছেন, তেমনই উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ থেকেও। যে তিনজনকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তাঁদের কথাও বলা যায়। আশা শোভানা ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে খেলছিলেন। কিন্তু প্রচারের আলোয় আসছিলেন না। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ সব বদলে দিয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জাতীয় দলে সুযোগ। রয়েছেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। শ্রেয়াঙ্কা পাটিল এবং সজনা সজীবনও উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেরই আবিষ্কার।
দুবাইতে প্রথম প্রস্তুতির পর স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাটিল বলছেন, ‘প্রথম বার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। এখানে পৌঁছেই কেমন একটা হচ্ছিল। বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি, ভেবেই রোমাঞ্চ লাগছে। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিজেকে বুঝিয়েছি, সব সত্যি। প্র্যাক্টিসে প্রথম ডেলিভারিটা করার পর মনে হল, আমি বেঁচে আছি, যা কিছু হচ্ছে সবটাই বাস্তব।’
আশা শোভানা বলছেন, ‘আমার কাছে নানা আবেগ কাজ করছে। এই মুহূর্তের জন্যই তো অপেক্ষা করছিলাম। প্রথম টার্গেট ছিল জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া। এটা শুধুই জার্সি নয়, আবেগ। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া আমার কাছে এখনও অবধি সেরা মুহূর্ত।’
পাওয়ার হিটার সজনা বলছেন, ‘ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করেছি। হ্যারি দি, স্মৃতি, জেমির মতো লেজেন্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ, আলাদা অনুভূতি। এখানে প্রচণ্ড গরম। তবে কেরালার সঙ্গে মিল রয়েছে। মানিয়ে নিতে আমার অসুবিধে হচ্ছে না। ভারতীয় দলের জার্সিটা শুধু আমার কাছেই নয়, ফ্যামিলি-কোচের কাছেও গর্বের মুহূর্ত।’
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড-হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি ভার্মা, দীপ্তি শর্মা, জেমাইমা রডরিগজ, রিচা ঘোষ, যস্তিকা ভাটিয়া, পূজা বস্ত্রকার, অরুন্ধতী রেড্ডি, রেনুকা সিং ঠাকুর, দয়ালান হেমলতা, আশা শোভানা, রাধা যাদব, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, সজনা সজীবন।