WPL 2023 থেকে পরিণত হওয়াই লক্ষ্য সহযোগী দেশের একমাত্র ক্রিকেটার তারার

Delhi Capitals-Tara Norris: সহযোগী দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে যতটা উচ্ছ্বসিত, তেমনই অবাকও হয়েছিলেন তারা। আইসিসি-র বাকি সহযোগী দেশগুলির প্রতিনিধি হিসেবেও এই টুর্নামেন্টে ছাপ ফেলতে চান তারা।

WPL 2023 থেকে পরিণত হওয়াই লক্ষ্য সহযোগী দেশের একমাত্র ক্রিকেটার তারার
Image Credit source: Instagram
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 9:30 AM

মুম্বই: দীর্ঘ সময় ধরেই অপেক্ষা চলছিল। অবশেষে এ বার হতে চলেছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে। সারা বিশ্বের বহু মহিলা ক্রিকেটার এই প্রতিযোগিতার অপেক্ষায় ছিলেন। সকলের সুযোগ পাওয়া সম্ভব ছিল না। বিদেশি হোক বা স্থানীয় ক্রিকেটার, এই টুর্নামেন্টের মাধ্য়মে আর্থিক এবং শেখার দিক থেকেও ভাগ্য় বদলে যেতে পারে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে ইংল্য়ান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশের ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন। আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশের বহু ক্রিকেটার থাকলেও সহযোগী দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তারা নরিস। দিল্লি ক্য়াপিটালস তাঁকে বেস প্রাইস ১০ লক্ষ টাকাতে নিয়েছে। দেশের হয়ে পাঁচটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়ছেন। তাঁর কাছে এই টুর্নামেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী বলছেন এই পেসার? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

দেশের হয়ে পাঁচ ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন তারা। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘প্রচুর বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছে এই টুর্নামেন্টে। আমি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি। আশা করছি খেলারও সুযোগ পাব। ওদের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব শিখতে চাই। এর আগে কখনও ভারতে আসার সুযোগ হয়নি। এখানকার পিচ, পরিবেশের সঙ্গেও দ্রুত মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে।’ দিল্লি স্কোয়াডে রয়েছেন মেগ ল্য়ানিং, জেস জোনাসেন, মারিজানে কাপ, শিখা পান্ডের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। পেসার হিসেবে তারার কাছে সুযোগ থাকবে মারিজানে কাপ, শিখা পান্ডেদের থেকে অনেক কিছু শেখার। তেমনই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিংয়ের থেকেও শিখে বড় মঞ্চে পারফরম্য়ান্সের জন্য পরিণত হতে পারবেন। তারার আরও একটা লক্ষ্য রয়েছে।

সহযোগী দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে যতটা উচ্ছ্বসিত, তেমনই অবাকও হয়েছিলেন তারা। আইসিসি-র বাকি সহযোগী দেশগুলির প্রতিনিধি হিসেবেও এই টুর্নামেন্টে ছাপ ফেলতে চান তারা। বলছেন, ‘সমস্ত সহযোগী দেশকে গর্বিত করতে চাই। সহযোগী দেশের প্লেয়ারদের হয়েও আমি প্রতিনিধিত্ব করছি। ওদের হয়েও এই টুর্নামেন্টে ছাপ ফেলতে চাই। অনেক মেয়েই ক্রিকেটের সঠিক পরিকাঠামো এবং আর্থিক সহযোগিতা পায় না। সহযোগী দেশগুলির মধ্য়ে সচেতনতা বাড়াতে চাই। আশা করছি পরবর্তী মরসুমে সহযোগী দেশ থেকে আরও অনেক ক্রিকেটার উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পাবে। নিলামে আমাকে নেওয়া অবাক হয়েছিলাম। তেমনই সম্মানিত বোধ করেছি। শুধুমাত্র আমেরিকার ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, সমস্ত সহযোগী দেশেরই প্রতিনিধি আমি।’