Arindam Gaur: ৫ বছরের খুদের বক্সিংয়ে বিশ্বরেকর্ড

'দ্রুততম ১০০ পাঞ্চে' বিশ্ব রেকর্ড (World Record) গড়ল ৫ বছরের খুদে অরিন্দম গৌর (Arindam Gaur)।

Arindam Gaur: ৫ বছরের খুদের বক্সিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
Arindam Gaur: ৫ বছরের খুদের বক্সিংয়ে বিশ্বরেকর্ড (সৌজন্যে-টুইটার)
Follow Us:
| Updated on: Jul 09, 2021 | 8:54 PM

নয়াদিল্লি: ‘দ্রুততম ১০০ পাঞ্চে’ বিশ্ব রেকর্ড (World Record) গড়ল ৫ বছরের খুদে অরিন্দম গৌর (Arindam Gaur)। ৩০ মে বক্সিংয়ে এই রেকর্ড করেছে অরিন্দম। ‘দ্রুততম ১০০ পাঞ্চে’ (fastest hundred punches) বিশ্ব রেকর্ড গড়তে অরিন্দম সময় নিয়েছিল ১৩ সেকেন্ড এবং ৭ ডেসি সেকেন্ড। ৫ বছর ৫ মাস ৮ দিন বয়সেই এই রেকর্ড গড়েছে অরিন্দম। এখন থেকেই বড় বক্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে এই খুদে। নিজের প্রিয় বক্সার মেরি কমকে টোকিও অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) জন্য একরাশ শুভেচ্ছাও জানিয়েছে বিশ্ব রেকর্ড করা ছোট্ট বক্সার।

অরিন্দমের কথায়, “আমি বক্সিং খুব ভালোবাসি এবং আমি একজন বড় বক্সার হতে চাই। সকাল ও সন্ধ্যে মিলিয়ে আমি রোজ ৩ ঘণ্টা অনুশীলন করি। আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি। আমার প্রিয় বক্সার হল বিজেন্দ্রর সিং ও মেরি কম। আমি মেরি কম ম্যামকে টোকিও অলিম্পিকের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই।”

অরিন্দমের বাবা অরুণ গৌর খোলসা করলেন কীভাবে তার ছেলে বক্সিং শুরু করেছিল। তিনি বলেন, “আমি ওর পাঁচ বছরের জন্মদিনে একটা পাঞ্চিং ব্যাগ উপহার দিয়েছিলাম। ও আমার কাছে বহুবার পাঞ্চিং ব্যাগের আবদার করেছিল। আমি জানি না ও কোথা থেকে এটার ব্যাপারে জানতে পেরেছিল, তবে দেখি ও নিজে থেকেই অনুশীলন করা শুরু করে। একদিন আমি ওকে বলেছিলাম, ‘সংবাদপত্রে দেখো এই বাচ্চাটা বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।’ শুনে ও উত্তর দিয়েছিল, বাবা আমিও বক্সিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ব।”

শুরুর দিকে অরিন্দমের বাবা তার কথায় সেভাবে গুরুত্ব দেননি। তবে পরে অরিন্দমকে বক্সিংয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে দেখে তিনি ঠিক করেন বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তাকে অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করবেন। তিনি বলেন, “আমি প্রথমে ব্যাপারটা অতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখিনি। বাড়িতেই ওকে অনুশীলন করানো শুরু করি। তবে আমি খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্য করি ও উন্নতি করা শুরু করে। তখন ঠিক করি ওকে অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করব। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই শুধুমাত্র বাড়িতেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে ও।”

অরিন্দমের বাবাও আগে বক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর কথা, “আমি আগে খেলতাম। তবে স্লিপ ডিস্কের কারণে আমি খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন মনে হয় আমার ছেলে পারবে। আমি ওর প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। ও এমএমএ-তে যাবে। আমরা গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কাছে পুরো প্রক্রিয়াটা জানার পর, অরিন্দমের পাঞ্চিংয়ের ভিডিয়ো করে ওদের পাঠিয়েছিলাম। বিশ্লেষণ করার পর ওরা এই সপ্তাহে আমাদের নিশ্চিত করে জানিয়েছে ওর রেকর্ডটি স্বীকৃতি পেয়েছে।”

আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০১৯-এর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ধোনির রান আউট