AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mohun Bagan vs Maziya SRC: মাজিয়ার সঙ্গে ‘মজা’ করেও জয় মোহনবাগানের! জোড়া গোলে ভুল শুধরে নিলেন কামিংস

AFC CUP, Mohun Bagan Super Giant Report: ভুল করলেন, শুধরেও নিলেন। বিশ্বকাপারের জোড়া গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান। তবে মাজিয়ার বিরুদ্ধে অতি চালাকিতে পয়েন্ট হারাতে বসেছিল মোহনবাগান। যার জেরে অসন্তুষ্ট দেখায় কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। জয় দিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব শুরু করেছিল মোহনবাগান। এ দিন দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। অনবদ্য সেভ মাজিয়া গোলরক্ষকের। অবশেষে ২-১'র রুদ্ধশ্বাস জয়।

Mohun Bagan vs Maziya SRC: মাজিয়ার সঙ্গে 'মজা' করেও জয় মোহনবাগানের! জোড়া গোলে ভুল শুধরে নিলেন কামিংস
Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 10:02 PM
Share

কলকাতা: ভুল করলেন, শুধরেও নিলেন। বিশ্বকাপারের জোড়া গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান। তবে মাজিয়ার বিরুদ্ধে অতি চালাকিতে পয়েন্ট হারাতে বসেছিল মোহনবাগান। যার জেরে অসন্তুষ্ট দেখায় কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। জয় দিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব শুরু করেছিল মোহনবাগান। এ দিন দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। অনবদ্য সেভ মাজিয়া গোলরক্ষকের। অবশেষে ২-১’র রুদ্ধশ্বাস জয়। টানা দু-ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষেই থাকল মোহনবাগান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ম্যাচের ২৮ মিনিটেই অনবদ্য গ্রাউন্ডারে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ওডিশার বিরুদ্ধে শুরু থেকে খেলানো হয়নি তাঁকে। পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয়েছিল। এ দিন প্রথম একাদশে রাখা হয় অজি বিশ্বকাপারকে। এএফসি কাপেও গোলের খাতা খুলে ফেললেন। কিন্তু খলনায়ক হতে বসেছিলেন কামিংস। নিজেই ভুল শুধরে নিয়েছেন শেষ মুহূর্তে। না হলে কত সমালোচনা হজম করতে হত, কে জানে!

ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আর্মান্দো সাদিকুকে ফাউল করা হয়। মোহনবাগানের পক্ষে পেনাল্টি দেন রেফারি। জেসন কামিংস শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। কিন্তু চমকে দেন। কামিন্স পেনাল্টি নিতে গিয়ে ডান দিকে ছোট্ট পাস খেলেন। দিমিত্রি পেত্রাতোস পোঁছনোর আগেই মাজিয়ার ডিফেন্ডার অ্যান্দ্রেজ ক্লিয়ার করেন। ২-০ লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। সকলেই ভেবেছিল ডিরেক্ট শট নেবেন কামিংস। কিন্তু কেন বুদ্ধিদীপ্ত পেনাল্টির ভাবনা, তা নিয়েই ধোঁয়াশা। বিরতির ঠিক আগে জাপানি ফুটবলার তোমোকি ওয়াডার গোলে সমতা ফেরায় মাজিয়া। জোরালো দূরপাল্লার শট নেন। গোলকিপার বিশাল কাইথের কাছে কোনও সুযোগই ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই কামিংস-দিমিত্রি জুটির পেনাল্টি নষ্ট নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে বাগান শিবির।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে একের পর এক অনবদ্য মুভ মোহনবাগানের। আর্মান্দো সাদিকুর শট ডান পায়ে কোনওরকমে আটকান মাজিয়া গোলরক্ষক হোসেন শেরিফ। ফিরতে বলে শট নেন কামিংস। তাঁর শটও আটকে দেন। ৭৯ মিনিটে মনবীর সিংয়ের অনবদ্য একটা শট বাঁচিয়ে দেন মাজিয়া গোলরক্ষক হোসেন শেরিফ। ৮০ মিনিটের মধ্যেই পাঁচটি গোলমুখী শট নেয় মোহনবাগান। এর মধ্যে গোল একটি। ৭ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। অ্যাডেড টাইমের তৃতীয় মিনিটে সেই কামিংসই গোল করেন। ম্যাচ শেষে দেখা যায়, কামিংস-পেত্রাতোস আলাদা করে কথা বলছেন। তবে কি সেই পেনাল্টি নিয়েই?

মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগ ম্যাচে সার্বিক ভাবে যা পারফর্ম করেছে, মাজিয়া হয়তো অন্তত হাফডজন গোল খেত। মোহনবাগান মোট ৯টি গোল মুখী শট নিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি সেভ করেন মাজিয়া গোলরক্ষক হোসেন শেরিফ।