কলকাতা: দাদা-কাকারা মজা করে বলেন, কালীপুজো পর্যন্ত রয়েছে বিজয়ার চল। বাগানে সদ্য পা রেখেছেন। তাঁর আড্ডা ঘরে দাদা-কাকারা পা রাখছেন কিনা এখনও জানা যায়নি, বাঙালির রেওয়াজ খানিকটা ঢুকে পড়েছে স্প্যানিশ কোচের মধ্যে। দুর্গাপুজোর পর দেখা হলে, বাঙালি শুভ বিজয়া দিয়েই শুরু করে। এ শহর নতুন হলেও বঙ্গ স্বাদেই পুজো পরবর্তী সাক্ষাৎ সারলেন জোসে মোলিনা (Jose Molina)। একঘর সাংবাদিককে স্পষ্ট বাংলায় বললেন, ‘শুভ বিজয়া।’ ডার্বির গর্জন শোনার ২৪ ঘণ্টা আগে মোলিনাকে খোশমেজাজে দেখাচ্ছে। ছন্দহীন লাল-হলুদই কি স্বস্তি দিচ্ছে তাঁকে? ডার্বির প্রেস মিটে যা যা বললেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) বিদেশি কোচ…
মোলিনার মতে একাদশ বাছা কঠিন – আলবার্তো রডরিগেজ ফিট। সবাইকে কালকের ম্যাচে পাওয়া যাবে। এখনও একটা সেশন বাকি। সবাই প্রস্তুত। ভালো লাগছে দেখে সবাইকে পাওয়া যাচ্ছে। কাকে বেঞ্চে রাখব সেটা বেশ কঠিন। সেরা একাদশ মাঠে নামাব।
তিন পয়েন্টে নজর বাগানের – মহমেডান ম্যাচ জয়ের পর ছেলেরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে অনেকে গেছিল। সবাই ম্যাচের মধ্যে আছে। কালকের ম্যাচের জন্য ভালো প্রত্যাশাই রয়েছে। আত্মবিশ্বাস আছে। জিততে চাই। তিন পয়েন্ট পেতে চাই।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করছে সবুজ – মেরুন শিবির – বিপক্ষকে যথেষ্ট সম্মান জানাই। ওরা মরসুম শুরুতে ভালো রেজাল্ট করেছে। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও হালকা ভাবে দেখার কোনও কারণই নেই।
সাহালের ফিটনেস প্রসঙ্গে – সাহাল ফিট। চোট থেকে কোনও ফুটবলার সেরে উঠলে তাকে পুরোপুরি ফিট বলা যায় না। একটা ম্যাচ খেলতে হবে।
আইএসএলে অপরাজিত মোহনবাগান, সেই প্রসঙ্গে – অতীত, অতীতই। আমরা আগামিকাল কী করতে পারি। আগামিকালের ম্যাচেই ফোকাস করছি। বিপক্ষের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে আমি ভাবছি না। নিজের দল নিয়ে ভাবছি। কীভাবে আগামিকালের ম্যাচ জেতা সম্ভব। প্রথম ডার্বি আমি অবশ্যই উৎসাহিত। চাপ নেই। ভারতে এসেছি কোচিং করাতে। এএফসি নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না। কালকের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। মাথায় শুধু ইস্টবেঙ্গল।
নিজের প্রথম ডার্বি – অবশ্যই জিততে চাইব। এখানে আসার পর থেকে সবাই বলছে ডার্বি জেতার জন্য। ডার্বি জিতলে নিশ্চয়ই সবাই খুশি হবে।
অস্কার ব্রুজোকে নিয়ে – আমি ওকে চিনি। তবে ওর আর আমার কোনও কথোপকথন হয়নি।
কোচ মোলিনার পাশে প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিলেন শুভাশিস বসু। তিনিও সকলকে শুভ বিজয়া বলে কথা শুরু করেন। কী কী বলেছেন শুভাশিস? রইল নিম্নে।
ডার্বিতে ফেভারিট কারা? – ডার্বিতে কেউ ফেভারিট হয় না। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে মোহনবাগান ফেভারিট। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে ইস্টবেঙ্গল ফেভারিট। সবাই ১০০ শতাংশ দিতে চায় ডার্বি জিততে। মোটিভেশন থাকবে। ডার্বি জিতুক মোহনবাগান, এটা আমি চাইব।
মোহন না ইস্ট এগিয়ে কে? – ক’দিন আগে শুনেছিলাম পিছিয়ে থাকা মোহনবাগান। এখন বলছেন পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল ভয়ঙ্কর। সবাই ভয়ঙ্কর। আমরাও আগামিকাল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠব। আমার কাছে মাঠের খেলাটাই প্রধান ব্যাপার। মাঠেই খেলা হবে। পুরো দল সেটায় ফোকাস।
আনোয়ার আর ইউস্তে প্রসঙ্গে – কিছু প্লেয়ার বিগত কয়েকবছরে মোহনবাগানে এসেছে। এ বারও কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবে। টিম হিসেবে ক্লিনশিট রাখার চেষ্টা করব। তারা খেলে গেছে, জানে বড় দলে কিভাবে খেলতে হয়। ওরা আগের কোচের প্ল্যান জানত। এখন নতুন কোচ।
দলের পরিবেশ প্রসঙ্গে – মহমেডান ম্যাচ জিতে শেষ করেছিলাম। দলের পরিবেশ তাতে ভালো হয়। এটাও জিতে শেষ করতে চাই। মাঝের ছুটিতে প্র্যাক্টিস করেছি। ডার্বির কোনও ম্যাচই হারতে চাই না। চেষ্টা করব আগামিকাল জিততে। সমর্থকদের জয় উপহার দিতে চাই।
গোল প্রসঙ্গে – দলের প্রয়োজনে গোল করতে তৈরি। সুযোগ পেলে গোল করব। এ বছর দুটো গোল হয়েছে। তবে আগে চেষ্টা করব দলের রক্ষণকে সামলাতে।
আনোয়ার আলি প্রসঙ্গে – অন্যরা কী করবে জানি না। মাঠের বাইরে যাই হয়ে যাক, মাঠের ভেতরে ফোকাস থাকা উচিত। তা হলে ভালো পারফর্ম করতে পারবে।