
কলকাতা: উদ্বেগ নিয়েই রাজধানী গিয়েছিলেন ক্লাব প্রতিনিধিরা। তা যে কমল, বলা যাচ্ছে না। আশ্বাস মিলল ঠিকই, কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল অচিরেই শুরু হবে, তার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তার বদলে, সুপার কাপ দিয়ে মরসুম শুরুর কথা বলা হল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বৈঠকে। সব মিলিয়ে ভারতীয় ফুটবলে এখনও ভোরের দেখা মিলছে না। বরং আশঙ্কা আরও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলও ছিল বৈঠকে। আইএসএলের সব ক্লাব বৈঠকে হাজির থাকলেও মোহনবাগান ও ওড়িশা এফসি প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এআইএফএফ ঠিক করেছে, সুপার কাপ দিয়েই শুরু করবে ভারতীয় ফুটবল মরসুম। তা হবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের উইন্ডোতে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরেই আইএসএল শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বরের উইন্ডোতে সুপার কাপ করার অর্থই হল, আগামী বছরের আগে আইএসএল শুরুর কোনও সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও স্পোর্টস বিল পাশ করেনি। বরষাকালীন অধিবেশন চলছে লোকসভায়। আগামী সপ্তাহে তাতে শিলমোহর পড়তে পারে। কিন্তু ওই বিল কার্যকর হতে হতে আরও সময় লাগবে। অন্য দিকে আবার ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র তৈরি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন লাগবে তাতে। আবার আগামী বছর রয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। সে দিক থেকে ভাবলে, মরসুম তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। টালবাহানার মধ্যে আইএসএল হলেও ক্লাবগুলোর নাভিশ্বাস উঠবে। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্লাব কর্তাদের।
ফেডারেশন যতই সুপার কাপ দিয়ে মরসুম শুরুর ভাবনা পেশ করুক, তাতে খুব একটা সায় যে মিলেছে ক্লাবগুলোর, তা বলা যাচ্ছে না। আইএসএল হবে, আশ্বাস পেলে তবেই সুপার কাপ খেলতে রাজি হবে ক্লাবগুলো, এমনই শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফের সঙ্গে জটিলতা কেটেছে, তাও বলা যাচ্ছে না। তাও মিটতে মিটতে সময় লাগবে, এমনই শোনা যাচ্ছে।
কল্যাণ চৌবে সভার পর বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আইএসএল শুরু করার ভাবনা রয়েছে আমাদের। টিমগুলোর ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে প্রস্তুতির জন্য। সেই সময়টা পেয়ে যাবে। পরের বৈঠকে সুপার কাপের দিনক্ষণ জানা যাবে।’
ভারতীয় ফুটবল মরসুম কবে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তায় পড়েছে আইএসএল ক্লাবগুলো। যে কারণে অনেক টিমই প্রস্তুতি থামিয়ে দিয়েছে। প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের মাইনে দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের এই ছবি যে আরও অন্ধকার বাড়াচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ নিয়ে কল্যাণ বলেছেন, ‘ক্লাবগুলো ঠিক করবে, তারা তাদের প্লেয়ারদের মাইনে দেবে কি দেবে না। আমরা এতে নাক গলাতে পারি না। এ ভাবেই সারা বিশ্বের সর্বোচ্চ লিগগুলো চলে।’