লন্ডন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (Champions League) ১৪০তম গোল করে ফেললেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেরিয়ারে ৭৯৯তম গোলও এল তাঁর পা থেকে। ভিয়ারিয়ালের (Villarreal) বিরুদ্ধে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) আগুনে ফর্মই নকআউটে তুলল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে (Manchester United)। ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে হারের জেরে চাকরি হারিয়েছেন নরওয়ের কোচ ওলে সোল্কজায়ের। আপাতত মাইকেল ক্যারিকের কাঁধে টিমের দায়িত্ব। সোল্কজায়ের সরতেই জয়ে ফিরল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের টিম।
৩৬ বছরের রোনাল্ডো যে জার্সিতেই খেলুন না কেন, গোলের বন্যা বইয়ে দেন। যে ক্লাব থেকে একসময় উত্থান হয়েছিল তাঁর, সেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে আবার সেরাটা দিচ্ছেন সিআর সেভেন। ৫টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলে ৬টা গোল করেছেন পর্তুগিজ তারকা। শুধু তাই নয়, টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একার কাঁধে। কোচহীন টিমের মুখ এখন তিনিই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর চিরকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেস মেসির গোল ১২৩। এলএমের থেকে ১৭ গোল এগিয়ে রোনাল্ডো। এতেই শেষ নয়, তিনিই প্রথম ফুটবলার, যিনি ইংলিশ ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পাঁচটা ম্যাচেই গোল পেলেন।
এল মাদ্রিগালে ২-০ ম্যাচ জেতার পর রোনাল্ডো বলেছেন, ‘স্পেনে যে কোনও ম্যাচ খেলতে খুব ভালো লাগে। একই সঙ্গে স্পেনে যে কোনও ম্য়াচ জিততেও ভালো লাগে। যে দেশের জনতা আমাকে বরাবর স্পেশাল হিসেবে দেখেছে, সেখানে গোল পেলে তৃপ্তি আরও বাড়ে। টিমকে অভিনন্দন, আমাদের যেখানে পৌঁছনো উচিত ছিল, সেখানেই পৌঁছতে পেরেছি। আমরা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। এই ক্লাবের হয়ে ম্যাচ জেতার লড়াই কখনওই বন্ধ করব না। এগিয়ে যাও রেড ডেভিলস!’
ক্লাবের সমর্থকদের উদ্দেশে রোনাল্ডোর এই বার্তা নিশ্চিত ভাবে তাঁদের তাতিয়ে তুলছে। লিভারপুল ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে হারের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, রোনাল্ডো ভুল ক্লাবে এসে পড়েছেন। সদ্য প্রাক্তন কোচ ওলেও রোনাল্ডোকে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারছিলেন না। ইপিএলে টানা হারের ধাক্কায় এতটাই বিপর্যস্ত ছিল ম্যান ইউনাইটেড যে, চ্যম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে আবার ত্রাতা রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন: Champions League: ম্যাঞ্চেস্টারকে শেষ ১৬য় নিয়ে গেলেন রোনাল্ডো