Durand Cup 2025: ডুরান্ড কাপে না খেলার ভাবনা মোহনবাগানেরও!

Indian Football News: মার্চেন্ডাইজে বেশ কিছু ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যে ঘটনা ভাল ভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। শেষ পর্যন্ত ডুরান্ড থেকে যদি সত্যিই মোহনবাগান সরে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে সেনার টুর্নামেন্ট যে একেবারে আকর্ষণ হারাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Durand Cup 2025: ডুরান্ড কাপে না খেলার ভাবনা মোহনবাগানেরও!
Image Credit source: X

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Jun 24, 2025 | 3:06 PM

কলকাতা: ডুরান্ড কাপের ভবিষ্যৎ কী? আইএসএলের একাধিক ক্লাব ডুরান্ড কাপে না খেলার কথা ভাবছে। সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত না খেলার কথা জানিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি। সূত্রের খবর, বাকি ক্লাবগুলোও সেই পথে হাঁটতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, এফসি গোয়া, ওড়িশা এফসির মতো দলগুলো। সূত্রের খবর, এফএসডিএলের নির্দেশেই ফুটবল অপারেশন নিয়ে আপাতত কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না ক্লাবগুলো। প্রস্তুতি শিবির কবে শুরু হবে জানা নেই। তার কারণ আইএসএল নিয়ে একটা বিরাট বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ভারতীয় ফুটবলে। ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ না হলে, এবছর আইএসএল আয়োজন করবে না এফএসডিএল। এমনটাই সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত। ডিসেম্বরে এফএসডিএলের সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি শেষ হচ্ছে। নতুন চুক্তিতে আইএসএল চালাতে আলাদা কোম্পানি গঠন গড়া হবে। শুধু তাই নয়, ফেডারেশনের শেয়ার হোল্ডার থাকবে ১৪%। এমনই খবর ভারতীয় ফুটবলে। ফেডারেশনের মামলা ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও নতুন চুক্তিতে সই করতে পারবে না ফেডারেশন।

আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা যাওয়ায় সমস্ত ক্লাব, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এখন ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। একাধিক সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে ভারতীয় ফুটবলকে ঘিরে। তবে ডুরান্ড কাপ আদৌ নির্ধারিত সময়ে সব দলগুলোকে নিয়ে শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়েই এখন বিরাট প্রশ্নচিহ্ন।

এদিকে ডুরান্ড কাপে না খেলার কথা ভাবছে মোহনবাগানও। সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও, সূত্রের খবর সেনার এই টুর্নামেন্টে খেলবে কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ম্যানেজমেন্ট। এমনিতেই অনুশীলন শুরু করতে মাঠ একটা সমস্যার। কারণ ডুরান্ড শুরু হয়ে গেলে যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ড সেনাবাহিনী নিয়ে নেবে। সিনিয়র দল কবে থেকে অনুশীলন শুরু করবে তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এছাড়া মোহনবাগানের এখন প্রধান লক্ষ্য এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২। শেষ কয়েক বছর ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বেই ডার্বি হয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্তারা ভাবছেন, রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের দিয়ে সব ম্যাচ খেলানো সম্ভব নয়। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল হলে, সেক্ষেত্রে তাদেরও পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ঝাঁপাতে হবে। তাই সব কিছু অঙ্ক মাথায় কাজ করেছে। এছাড়া এফএসডিএলের একটা বার্তা তো সব ক্লাবগুলোর কাছে আছেই।

সূত্রের খবর, ডুরান্ডে শেষ দু’বছর মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে সেনা কর্তারা যে আচরণ করেছেন তাতে ম্যানেজমেন্ট খুশি নয়। ম্যাচ টিকিট নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে শেষ কয়েক বছরে। এছাড়া গত বছর, মোহনবাগান ক্লাবে আচমকাই সেনাবাহিনীর আধিকারিরা গিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। মার্চেন্ডাইজের জন্য তৈরি হওয়া অস্থায়ী কিয়স্ক ভেঙে দেয়। মার্চেন্ডাইজে বেশ কিছু ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যে ঘটনা ভাল ভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। শেষ পর্যন্ত ডুরান্ড থেকে যদি সত্যিই মোহনবাগান সরে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে সেনার টুর্নামেন্ট যে একেবারে আকর্ষণ হারাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।