
ডুরান্ডে দুরন্ত শুরু মোহনবাগানের। কলকাতা মিনি ডার্বিতে ৩-১ ব্যবধানে মহমেডানকে হারাল সবুজ মেরুন। তাও আবার দশ জনে। যে কোনও টুর্নামেন্টের শুরুটা দুর্দান্ত হওয়া প্রয়োজন। সেটাই করল মোহনবাগান। যদিও সাময়িক অস্বস্তিও ছিল। তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সবুজ মেরুন শিবির। গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের হতাশা নিয়ে নয়, বরং আনন্দেই মাঠ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। এই জয়ে নায়ক অবশ্য়ই লিস্টন কোলাসো।
মরসুমের প্রথম ম্যাচ। সামান্য আশঙ্কা ছিল, ফুটবলারদের মধ্যে সেই বোঝাপড়াটা দেখা যাবে তো! যদিও মোহনবাগান কার্যত একই স্কোয়াড ধরে রেখেছে। আর ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময়ও নেয়নি মোহনবাগান। ম্যাচের ২২ মিনিটে মহমেডান বক্সের ঠিক বাইরে লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করা হয়। রেফারি ফ্রি-কিক দিতে দ্বিধা করেননি। মনে হয়েছিল, ফ্রি-কিকের জন্য ক্লোজ রেঞ্জ। ওয়ালে আটকে যেতে পারে বল। যদিও দুর্দান্ত একটা ফ্রি-কিক থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসোই।
লিড নিলেও প্রথমার্ধেই মোহনবাগানের অস্বস্তি তৈরি হয়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আপুইয়া। দশ জনে পরিণত হয় মোহনবাগান। সাদা-কালো ব্রিগেডের কাছে ম্যাচটা একটু হলেও সহজ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ৫১ মিনিটে গোল শোধ মহমেডানের। বক্সের বাইরে থেকে ১১ নম্বর জার্সির লালথনকিমার দুরন্ত শট। বিশাল কাইথ হাত লাগালেও, রিবাউন্ড শটে গোল অ্যাশলের। তবে এই আনন্দ সাদা কালো শিবিরে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
সুহেল ভাটের সৌজন্যে ফের লিড নেয় মোহনবাগান। গোলের সেট আপ করে দেন লিস্টন কোলাসোই। মহমেডানের চার ফুটবলারকে চমক দিয়ে দুর্দান্ত পাস করেন সুহেল ভাটকে। তাঁর প্রথম শট গোলকিপারের হাতে লেগে ফেরে। সেকেন্ড চেষ্টায় ভুল করেননি। ৬৩ মিনিটে ২-১ গোলের লিড নেয় ১০ জনের মোহনবাগান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে আরও এক গোল লিস্টন কোলাসোর। গোল পার্থক্যে গ্রুপে শীর্ষে উঠল মোহনবাগান।