
ফাতোরদা: একটা জয়ই বদলে দিয়েছে দলের মানসিকতা। সুপার কাপ (Super Cup) অভিযানেই বিদেশিহীন ডেম্পোর কাছে আটকে গেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। চেন্নাই ম্যাচের জয় স্বস্তি বয়ে এনে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ড্রেসিংরুমে। শুক্রবার মরসুমের আরও একটা বড় ম্যাচ। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড, শিল্ডের পর এবার সুপার কাপ। দেড় সপ্তাহ আগে শিল্ডের ফাইনালে টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল অস্কার ব্রুজোর দলকে। যে ম্যাচের পরই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। যার রেশ গড়ায় গোয়াতেও। ডেম্পো ম্যাচেও দলের খেলায় এই প্রভাব অনেকটা পড়েছিল। চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন সাউল ক্রেসপোরা।
শুক্রবারের বড় ম্যাচে নামার আগে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ড্র করলেই শেষ চারে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তবে ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে শুক্রবার মাঠে নামতে নারাজ অস্কার ব্রুজো। স্প্যানিশ কোচ বলেই দিলেন, ‘মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই মাঠে নামব।’ একই সুর সাউল ক্রেসপোর গলাতেও।
ডার্বিতে মাঠে নামার মাঠ নিয়ে অভিযোগ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর। গ্রুপের দুটো ম্যাচই ব্যাম্বোলিমে খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহনবাগান দুটো ম্যাচই খেলেছে ফাতোরদায়। বৃষ্টিতে ফাতোরদার মাঠ ভারী হয়ে যায়। লাল-হলুদ কোচ বললেন, ‘ফাতোরদার মাঠ বেশ শক্ত। ব্যাম্বোলিমের মাঠ তুলনামূলকভাবে ভাল। এই মাঠটা ভারতের অন্যান্য মাঠের চেয়েও আলাদা।’
শিল্ড ফাইনালে হারের ধাক্কা ভোলেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। ভাল মতোই জানেন, সুপার কাপে ফল অন্যরকম হলে তিনিও ভাল জায়গায় থাকবেন না। সুপার কাপে শুরু থেকেই ৬ বিদেশিকে খেলানো যাবে। সেটা মাথায় রেখেই ডার্বির দল সাজাচ্ছেন অস্কার ব্রুজো। মিগুয়েল, রাশিদ, কেভিনরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। রবসন, ম্যাকলারেনদের আটকাতে বাড়তি নজর দিচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। শুক্রবারের ডার্বি অস্কারের কাছে বদলার মঞ্চ। ডুরান্ড, শিল্ড হাতছাড়া হয়েছে। সুপার কাপই এখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আশা-ভরসা।