
কলকাতা লিগে মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে গত কয়েক বছরে বড়দের বড় ম্যাচে এক তরফা দাপট দেখা গিয়েছে মোহনবাগানেরই। আগামী কাল রবিবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এ বারের ডুরান্ডে দু-দলই বিধ্বংসী ফর্মে। ভিন্ন গ্রুপে ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। দু-দলই নিজেদের গ্রুপে টপ করেছে। তিনে তিনটি ম্যাচই জিতেছে। কিন্তু বড় ম্যাচে জিরো থেকেই শুরু করতে হয়। ইস্টবেঙ্গলের মিড ফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী এই ম্যাচটি রাশিদের জন্য বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে এ বার নানা পরিবর্তন এসেছে। একাধিক নতুন বিদেশি প্লেয়ার সই করিয়ছে তারা। গ্রুপ লিগে তাঁদের ঝলকও দেখা গিয়েছে। এই নতুন বিদেশিদের মধ্য়ে একজন মহম্মদ রাশিদ। প্যালেস্তাইনের এই ফুটবলার গ্রুপে সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর কারণে রাশিদকে বড় ম্যাচে পাওয়া যাবে না। ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী বলেন, ‘রাশিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে আমাদের। ও নেই ঠিকই। ডার্বি জিতে ওকে উৎসর্গ করতে চাই। রাশিদের জন্য এই ডার্বিটা জিততে চাই।’
গ্রুপে যতই ভালো পারফরম্যান্স হোক, দাপুটে জয় আসুক, ডার্বি যে সবসময়ই আলাদা, এ কথা জানাতে ভুলছেন না। বহু ডার্বিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই থেকেই সৌভিক বলছেন, ‘বড় ম্যাচ সবসময় আবেগের। সবসময় ৫০-৫০। আমরা গ্রুপ পর্বে ভালো খেলেছি। আশা করছি ডার্বিতেও ভালো ফল হবে। ডার্বি পুরোপুরি নির্ভর করে সেই দিনের উপরে। ব্যক্তিগত টার্গেট তো থাকেই। সমর্থকদের কথা ভেবে জিততে চাই। প্রত্যেকটা ডার্বির আলাদা গুরুত্ব আছে।’