কলকাতা: আর কত পরীক্ষা দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)? লাল-হলুদ জনতা এই প্রশ্ন করতেই পারেন। চলতি মরসুমে ফের জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার ইস্টবেঙ্গল। একে তো চোট সমস্যায় মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে লাল-হলুদ শিবির, তারপর খারাপ রেফারিংয়ের শিকার। পয়েন্ট টেবিল বা লিগের শেষে হয়তো কেউ জঘন্য রেফারিংয়ের কথা মনে রাখবেন না, কিন্তু এই নিম্নমানের রেফারিং ভারতীয় ফুটবলকে ক্রমশ পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। হরিশ কুণ্ডু, তেজাস বিশ্বরাও নাগভেঙ্কররা আদৌ কি আইএসএলে রেফারি হওয়ার যোগ্য? তাঁদের ম্যাচ পরিচালনার ছবি তেমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে।
ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলার ৪২ মিনিটে দিয়েগো মরিসিওকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের জিকসন সিং। কিন্তু ওই হলুদ কার্ড দেখা নিয়ে রয়েছে যাবতীয় প্রশ্ন। মরিসিওর প্লে অ্যাক্টিংয়ের ফাঁদেই কার্যত পা দেন রেফারি তেজাস বিশ্বরাও নাগভেঙ্কর। ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যান মাদিহ তালাল। ক্রাচ নিয়ে অন্যদের কাঁধে ভর করে মাঠ ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ড জেনারেল। চোট বেশ গুরুতর। সাউল ক্রেসপো, দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোসের সঙ্গে জুড়ল আরও এক বিদেশির নাম। হেক্টর ইউস্তেও এখনও ৯০ মিনিট ফিট নন। সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের। ১০ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে অস্কার ব্রুজোর দল। ম্যাচের রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন লাল-হলুদ হেডস্যার।
ম্যাচ শেষে রেফারিং ইস্যুতে কার্যত বোমা ফাটালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। স্টেডিয়াম ছাড়ার পথে ইস্টবেঙ্গল কর্তা বললেন, ‘আমরা একটা ভুল করেছি। ঠিকমতো রেফারি রিক্রুট করতে পারিনি। অন্য দলগুলো যেটা করতে পেরেছে। এই জায়গাটা আমাদের ব্যর্থতা।’ আইএসএলের মঞ্চে কেন এরকম খারাপ রেফারিং? দেবব্রতর উত্তর, ‘আমার মনে হয়, কোনও রকম নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। আমরা সেটাই খুঁজছি।’ ইস্টবেঙ্গল কি ফের অভিযোগ জানাবে? তিক্ততার সুরে লাল-হলুদ কর্তা বললেন, ‘আর কত অভিযোগপত্র দেব? কাগজ তো ফাইলে পরিণত হয়েছে। লাভ তো হচ্ছে না কিছুই। এরপর দেখি রাস্তায় নামতে হয় কিনা!’