Durand Cup 2025 Semifinal: অভিষেকেই বাজিমাত, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে ডায়মন্ডহারবার

East Bengal vs Diamond Harbour FC, Durand Cup 2025: বিশেষ করে গ্রুপে নামধারি এফসির বিরুদ্ধে মাত্র এক গোল, অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। কঠিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল খাবি খেতে পারে সেই আশঙ্কা যেন নামধারি ম্যাচ থেকেই ছিল। আর সেই ময়দানের রীতি!

Durand Cup 2025 Semifinal: অভিষেকেই বাজিমাত, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে ডায়মন্ডহারবার
Image Credit source: X

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Aug 20, 2025 | 9:26 PM

কলকাতা ময়দানে একটা বিষয় খুবই মানা হয়। বলা যায়, রীতিও! বড় ম্যাচ জেতার পর ভালো পারফর্ম করতে পারে না ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান। এমনটা অনেকবার দেখা গিয়েছে। ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচে ড্র কিংবা হার। সেই রীতি দেখা গেল ডুরান্ড কাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। ডার্বিতে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেমিফাইনালের বাধা পেরনো হল না। ডুরান্ড কাপ অভিষেকেই ফাইনালে ডায়মন্ডহারবার এফসি।

প্রথম বার ডুরান্ড কাপ খেলছে ডায়মন্ডহারবার এফসি। গ্রুপ পর্বে প্রথম দু-ম্যাচেই বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হারে ডায়মন্ডহারবার। তবে প্রতিটা ম্যাচেই তাদের গোল করার খিদে বড় স্বপ্নই দেখিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতলেও প্রচুর সুযোগ নষ্ট চিন্তায় রেখেছিল। বিশেষ করে গ্রুপে নামধারি এফসির বিরুদ্ধে মাত্র এক গোল, অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। কঠিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল খাবি খেতে পারে সেই আশঙ্কা যেন নামধারি ম্যাচ থেকেই ছিল। আর সেই ময়দানের রীতি!

প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত লড়াই। ৬৬ মিনিটে ব্যাকভলিতে গোল করে ডায়মন্ডহারবার এফসিকে এগিয়ে দেন কোর্টাজার। এক মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। দূরপাল্লার শটে গোল আনোয়ারের। কিন্তু শেষ দিকে পরিস্থিতি কঠিন হয়। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের ছোট্ট ভুল। যার সুযোগ নিতে ভোলেনি কিবু ভিকুনার দল। জবি জাস্টিনের সৌজন্যে ২-১ এগিয়ে যায় ডায়মন্ডহারবার এফসি।

একটা সময় ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন জবি জাস্টিন। প্রাক্তনীর এই গোলই লাল-হলুদকে ট্রফির দৌড় থেকে ছিটকে দেয়। যদিও ইস্টবেঙ্গলের হাতে অনেকটা সময় ছিল। সুযোগও আসে দ্রুতই। দলে ফেরা রাশিদ দুর্দান্ত একটা সুযোগ পেলেও গোলে বল রাখতে পারেননি। ম্যাচে একঝাঁক সুযোগ নষ্টের মধ্যে যোগ হয় আরও একটা হতাশা।

ম্যাচের ৮৭ মিনিটে বিষ্ণুকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। ম্যাচে সংযুক্তি সময় দেওয়া হয় ৮ মিনিট। ইস্টবঙ্গলের কাছে ফাইনালে যাওয়ার লাইফলাইন। কিন্তু এর জন্য় প্রথম প্রয়োজন ছিল একটা গোলে অন্তত সমতা ফেরানো। ময়দানে অভিজ্ঞ বিক্রমজিৎকে নামিয়ে ডিফেন্স মজবুত করে ডায়মন্ডহারবার এফসি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ভুলে উল্টে ডায়মন্ডহারবারই সুযোগ পায়। অফসাইডে রেহাই পায় ইস্টবেঙ্গল। বাকি সময়টুকুও যথেষ্ট ছিল না। এ বারের মতো ডুরান্ড অভিযান শেষ লাল-হলুদের। শনিবার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলবে ডায়মন্ডহারবার এফসি।