Kolkata Derby Result: রুদ্ধশ্বাস ডার্বি জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, কলার তুলে ‘হিরো’ অস্কার

East Bengal vs Mohun Bagan, Durand Cup 2025: বিরতিতে জেসন কামিংসকে নামায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের দাপটই ছিল বেশি। দ্বিতীয়ার্ধেও পরিস্থিতি লাল-হলুদের পক্ষেই। ২-০ এগোতেই ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ডাবল উচ্ছ্বাস। পরিস্থিতিও বদলায়।

Kolkata Derby Result: রুদ্ধশ্বাস ডার্বি জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, কলার তুলে হিরো অস্কার
Image Credit source: X

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Aug 17, 2025 | 9:06 PM

ম্যাচের আগেই বলেছিলেন, কঠিন ম্যাচে হিরো হতে চান। অস্কারের সেই কথা রাখলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যদিও ম্যাচের শুরুর দিকেই সুযোগ নষ্টের পাশাপাশি হামিদের চোট অস্বস্তিতে ফেলে ইস্টবেঙ্গলকে। তাঁর পরিবর্তে দিয়ামান্টাকোসকে নামানো হয়। নানা নাটকীয় মুহূর্ত। ২৭ মিনিটে ফের বিপদ মোহনবাগান শিবিরে। বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সুযোগ নষ্টের আরও একটা মহড়া ইস্টবেঙ্গলের। শুরুর দিকের সেই পরিবর্তন শাপে বর হয়ে দাঁড়ায় লাল-হলুদ শিবিরে। রুদ্ধশ্বাস একটা ডার্বি জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম গোলের পরই ইস্টবেঙ্গল কোচ যে কলার তুলেছিলেন, সেই সম্মান বজায় থাকল। ২-১ ব্য়বধানে জয় ইস্টবেঙ্গলের।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বিপিনকে বক্সে ফাউল করেন আশিস রাই। পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি রেফারি। ইস্টবেঙ্গলের পুরনো অস্ত্র দিমিত্রি দায়ামান্টাকোসের স্পট-কিক। ৩৮ মিনিটেই ডার্বিতে ১-০ লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। এক গ্যালারিতে চূড়ান্ত উচ্ছ্বাস। মোহনবাগান গ্যালারি নিস্তব্ধ। অস্কার ব্রুজো কলার তুলে সেলিব্রেশন করেন। যদিও ম্যাচের তখনও অনেক বাকি।

বিরতিতে জেসন কামিংসকে নামায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের দাপটই ছিল বেশি। দ্বিতীয়ার্ধেও পরিস্থিতি লাল-হলুদের পক্ষেই। ৫২ মিনিটে ফের গোল দিয়ামান্টাকোসের। নওরেম মহেশের পাস, দিয়ামান্টাকোসের শট যদিও অ্যালবার্তো রড্রিগেজকে ছুঁয়ে গোলে। ২-০ এগোতেই ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ডাবল উচ্ছ্বাস।

ফুটবলে খুব সহজ একটা হিসেবও রয়েছে। যতক্ষণ না রেফারির শেষ বাঁশি বাজছে, আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই। ইস্টবেঙ্গল যেন অতি উচ্ছ্বাসে ছিল। একটা মুহূর্তে ম্যাচের রং অনেকটাই বদলে দেন অনিরুদ্ধ থাপা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর শর্ট কর্নার, অনিরুদ্ধ থাপার শট। ডিফেন্স, ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল কেউই যেন বল দেখতে পাননি। এক গোল শোধ হতেই পেত্রাতোসকে নামিয়ে দেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশিস রাইয়ের দুর্দান্ত একটা শত। অল্পের জন্য ক্রসবারের উপরে।

শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গলের দাপট দেখা গেলেও দ্রুত পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। তখন যেন শেষ বাঁশির অপেক্ষা। প্রবল চাপে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে। কিন্তু একটা গোলের পর থেকেই টলমল অবস্থা। ৮০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন অস্কার। অভিজ্ঞ সৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে তরুণ পিভি বিষ্ণু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন।

সময় কমতে থাকে, মোলিনা আরও একটি বদল করেন। আশিস রাইয়ের জায়গায় সুহেল। নকআউট ম্যাচে গোল করা ছাড়া বিকল্প নেই। মোহনবাগানের টার্গেটও সেটাই হয়ে দাঁড়ায়। ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়ায় ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কিছুটা হলেও চাপ, মোহনবাগানের কাছে বড় সুযোগ। তবে বিষ্ণুর মতো ফ্রেশ লেগ, ইস্টবেঙ্গলে বাড়তি অক্সিজেন জোগায়। সঙ্গে মোহনবাগান বক্সে বল রেখে সময় কাটানো রয়েইছে। পেত্রাতোস, দীপক টাংরিদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান চুননুঙ্গা, সৌভিকরা। ডার্বির পরিচিত চিত্র। কিন্তু এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল বক্সে বার বার আক্রমণ অস্বস্তি তৈরি করে।

রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্টবেঙ্গলে একদিকে যেমন সেলিব্রেশন, তেমনই সদ্য পিতৃহারা সতীর্থ রাশিদকে জয় উৎসর্গ করে খারাপ সময়ে পাশে থাকার বার্তা সতীর্থদের। আর দুটো ধাপ। পেরোতে পারলেই ট্রফি।