লন্ডন: শুরু হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নতুন মরসুম। ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, জার্মানি সব দেশেই শুরু হয়েছে ঘরোয়া ফুটবল। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলও। এ বারও তেমন ভাবেই সাজানো হয়েছে সূচি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এ বার সব খেলা সূচি মেনে হবে কি না সন্দেহ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) জানিয়ে দিয়েছে, আগামী মাসে আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের জন্য কোনও ক্লাব থেকে ফুটবলার ছাড়া হবে না। প্রিমিয়ির লিগের সব ক্লাব একসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কেন?
কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে করোনা। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের জন্য লাল সতর্কতা আছে, এমন দেশে খেলতে যাওয়ার জন্য কোনও ফুটবলার ছাড়বে না তারা। প্রিমিয়ার লিগের ১৯টি ক্লাব থেকে ৬০ জন ফুটবলারের ২৬টি দেশে আগামী মাসে খেলতে যাওয়ার কথা। এই ২৬টি দেশেই করোনার লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। ইংলিশ ফুটবল, ইংল্যান্ড সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে ক্লাবগুলির। করোনা সংক্রমণ মাথায় রেখে ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও করোনা বিধিতে কোনও শিথিলতায় নারাজ ইংল্যান্ড প্রশাসন। তাই লাল সতর্কতা থাকা দেশ থেকে ফিরে ১৪ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে ফুটবলরদের। কাজেই একবার ফুটবলার ছাড়লে তাদের আবার প্রিমিয়ার লিগে ফিরে পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তাই ফুটবলার না ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চিফ এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, ”প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ সব সময় তাদের ফুটবলারদের পাশে আছে। দেশের হয়ে ফুটবলারদের খেলার ইচ্ছেকেও আমরা সব সময় সমর্থন করি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিটা আলাদা। বারবার কোয়ারান্টিন থাকলে ফুটবলারদের ফিটনেসের উপর বড় প্রভাব পড়বে।”
শুধু ফুটবলারদের না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়, ফিফার (FIFA) কাছেও এই নিয়ে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। ক্লাব বনাম দেশ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও ক্লাবগুলো সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে নানা দেশের ক্লাব। তবে করোনাকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যখন এই সিদ্ধান্ত, তখন কিন্তু ক্লাবেদের জোটের নেওয়া সিদ্ধান্তকে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারবে না ফিফা।
আরও পড়ুন: Chandrasekhar: ভারতীয় ফুটবলে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত অলিম্পিয়ান ফুটবলার চন্দ্রশেখর