ESP vs CRC Match Report: নার্ভাস নাভাস, পাসের ফুলঝুরিতে সাত গোলে জয় স্পেনের
FIFA World Cup Match Report, SPAIN vs COSTA RICA : পাসের ফুলঝুরিতে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস ছোটানো। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে সেটাই করল স্পেন। ম্যাচ রিপোর্টের চেয়ে ছবির গ্যালারি হয়তো বেশি মানানসই হত! ২০১০ বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র ৮ গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। এ বার প্রথম ম্যাচেই ৭ গোল।
দোহা : সমালোচনার পাহাড় নিয়ে কাতারে পা রেখেছিলেন লুইস এনরিকে (Luis Enrique)। স্কোয়াডে ৮ জনই বার্সেলোনার ফুটবলার। রাখা হয়নি ডেভিড ডি হিয়া, সের্গিও ব়্যামোসের মতো দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে। দলে পেড্রি, গাবির মতো এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার। ২০১০ চ্যাম্পিয়ন দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে কাতারেও (Qatar World Cup 2022) রয়েছেন সের্গিও বুস্কেতস। এনরিকে ভরসা রেখেছিলেন তরুণ প্রজন্মের উপর। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোচের ভরসার মর্যাদা রাখল এই তরুণ দল। পাস…পাস…পাস…। স্পেনের ফুটবল মানেই প্রত্যাশা থাকে তিকিতাকা। পাসের ফুলঝুরিতে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস ছোটানো। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে সেটাই করল স্পেন (Spain)। ম্যাচ রিপোর্টের চেয়ে ছবির গ্যালারি হয়তো বেশি মানানসই হত! ২০১০ বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র ৮ গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। এ বার প্রথম ম্যাচেই ৭ গোল। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত ছিল কোস্টারিকা। তাদের দলে কেলর নাভাসের মতো গোলরক্ষক। তিন নম্বর বিশ্বকাপ খেলছেন নাভাস। ক্লাব ফুটবলেও সফল। স্পেনের পাসিং ফুটবলের সামনে তিনিও নার্ভাস হয়ে পড়লেন। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন লুইস এনরিকে। ২০২০ ইউরো কাপে কার্যত এই স্কোয়াডই বেছে ছিলেন। হাতে গোনা কয়েকটি বদল। ইউরোর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল স্পেন। অভিজ্ঞতা বেড়েছে সেই তরুণ ব্রিগেডের। সঙ্গে বুস্কেতস, জর্ডি আলবা, সিজার আজপিলিকুয়েতার মতো অভিজ্ঞরা রয়েছেন। পাসের ফুলঝুরি দেখা যাবে না, তা কি হয়! প্রথমার্ধে মোট ৫৭৩টি পাস খেলেছে স্পেন। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ নিখুঁত পাস। বল পজেশনে এগিয়ে ছিল ৮৫-১৫। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এত পাস খেলে লাভ কী হয়েছে? ৩-০ এগিয়ে বিরতিতে গিয়েছে স্পেন।
ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই পাঁচ পাসে গোল। স্পেনকে এগিয়ে দেন ড্যানি ওলমো। বিশ্বকাপে স্পেনের শততম গোল। ষষ্ঠ দল হিসেবে বিশ্বকাপে একশো গোলের মাইলফলকে স্পেন। দ্বিতীয় গোলটি এল ম্যাচের ২১ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বক্সের বাঁ দিকে সের্গিও বুস্কেতসের লম্বা পাস। জর্ডি আলবা ডানদিকে পাস করেন। মার্কো আসেন্সির শটে গোল। পেনাল্টি থেকে প্রথমার্ধেই স্কোর লাইন ৩-০ করেন ফেরান তোরেস।
স্পেন ৭ (ড্যানি ওলমো ১১’, মার্কো আসেন্সিও ২১’, ফেরান তোরেস ৩১’-পেনাল্টি, ৫৪’, গাবি ৭৪’, কার্লোস সোলার ৯০’, আলভারো মোরাতা ৯০+২’)
কোস্টারিকা ০
স্পেনের পাসের ফুলঝুরিতে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল কোস্টারিকা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফের তিকিতাকা। ৫৪ মিনিটে দলের চতুর্থ এবং নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফেরান তোরেস। ৪ গোলে এগিয়ে যেতেই পরিবর্তন করেন লুইস এনরিকে। ফেরান তোরেসের জায়গায় আলভারো মোরাতা এবং পেদ্রির পরিবর্তে কার্লোস সোলার। ৬৩ মিনিটে জর্ডি আলবাকে তুলে নামান বাল্ডেকে। হোসে গায়া শেষ মুহূর্তে ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ হয় আর এক তরুণ বাল্ডের। সিনিয়র দলে অভিষেক ম্যাচ খেললেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই। বুস্কেতস, আসেন্সিওকেও তুলে নেন এনরিকে। তাতেও অবশ্য সমস্যা হয়নি। ৭৪ মিনিটে আলভারো মোরাতার ক্রসে ভলিতে গোল গাবির। বিশ্বকাপে স্পেনের কনিষ্ঠতম স্কোরার হলেন গাবি। পেলের পর কনিষ্ঠতম স্কোরারও হলেন গাবি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে গোল করেছিলেন পেলে। এ দিন ১৮ বছর ১১০ দিন বয়সে গোল গাবির।
The kid is alright ???
Gavi (18y,110d) is the youngest #FIFAWorldCup scorer since Pelé in 1958 (117y, 249d).
What a moment! #Qatar2022 pic.twitter.com/9ixdKSH0n2
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 23, 2022
গোলের খাতা তখনও বন্ধ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এবং অ্যাডেড টাইমে গোল কার্লোস সোলার ও আলভারো মোরাতার। স্পেনের পাস সামলাতে গিয়ে আক্রমণে ওঠার সুযোগই পেল না কোস্টারিকা। স্পেনের ৪ প্লেয়ার ব্য়ক্তিগত ভাবে যত পাস খেলেছেন, কোস্টারিকা পুরো দল মিলেও তত পাস খেলতে পারেনি। ৯৩ শতাংশ অ্যাকুরেসি রেখে সব মিলিয়ে ১০৪৩ পাস খেলল স্পেন।