Tulsidas Balaram: শেষ যাত্রায় কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম
Uttar Para: তুলসীদাস বলরামের মৃত্যুতে দেশ ও রাজ্য এবং কলকাতা ময়দানের মতো তাঁর পাড়াতেও শোকের ছায়া।
উত্তরপাড়া : একটা যুগের অবসান। এ দিন দুপুরে প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। পিকে-চুনী-বলরাম ত্রয়ীর শেষ নক্ষত্রের পতন হল। ভারতীয় ফুটবলে এই ত্রয়ীর অবদান কারও ভোলার নয়। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চুনী গোস্বামীর আগেই প্রয়াণ হয়েছিল। এ বার তাঁদের মতোই না ফেরার দেশে তুলসীদাস বলরামও। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়। হুগলির উত্তরপাড়ার একটি আবাসনে একাই থাকতেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত ৫২ দিন ভর্তি ছিলেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। পড়ে রইল তাঁর শূন্য ফ্ল্যাট, যেখানে হাসপাতাল বেড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ছিল। ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের সোনাজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বলরাম। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রীড়ামহল থেকে উত্তরপাড়ায় তাঁর প্রতিবেশী অনুরাগীরা। প্রতিবেশী স্মিতা সরকার বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম উনি হয়তো ফিরে আসবেন। কিন্তু এই ভাবে চলে যাবেন ভাবিনি। উনি এই বাড়ি আর আমাদের খুবই ভালোবাসতেন। খুব মনের জোর ছিল তাঁর। আমাদের অভিভাবক হিসাবে ছিলেন। এই ক্ষতি আর পূরণ হবে না।’
তুলসীদাস বলরামের মৃত্য়ুতে দেশ ও রাজ্য় এবং কলকাতা ময়দানের মতো তাঁর পাড়াতেও শোকের ছায়া। উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘উনি আমাদের রাজ্য ও দেশের গর্বের মানুষ ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভূগছিলেন। পুরসভার বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত হতেন। তাঁর প্রয়াণে আমরা মর্মাহত। আমরা যথাযথ সম্মান আগেও দিয়েছি ভবিষ্যতেও দেবো।’ প্রাক্তন ফুটবলার সমীরন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’উত্তরপাড়ায় আসার পর থেকে আমি ওনার লাঠি ছিলাম। স্যার এত ভালো মানুষ ছিলেন। খুব ধীর স্থির। ভারতে আন্তর্জাতিক ফুটবলার মানেই তুলসীদাস বলরাম। পিকে-চুনী-বলরাম যখন খেলতেন, তখন দেশের ফুটবলে স্বর্ণ যুগ ছিল। এমন ফুটবলার ও এমন মানুষ হয়তো আর হবে না।’