Sunil Chhetri: ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীকে ঘিরে আবেগের আলোয় যুবভারতী
India vs Kuwait, FIFA World Cup 2026 qualifiers: ড্রেসিংরুম থেকে অন্য সুনীল বেরোলেন। ততক্ষণে কিছুটা হয়তো নিজেকে বোঝাতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি প্রাক্তন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা সোনার চেন উপহার সুনীল ছেত্রীকে।
অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু তিনিও জানেন সম্ভব নয়। চোখের জল আটকানো অসম্ভব। বারবার একটা কথা বলে এসেছেন, আজ তিনি যা কিছু, সবটাই ফুটবলের জন্য। নীল জার্সিতে পুরো দেশের প্রত্যাশার ভার বয়েছেন। এরপর কে? এই প্রশ্নটাই বারবার ঘুরে ফিরে উঠল। সুনীল আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন। এরপর ভারতীয় ফুটবল? এই প্রশ্নের উত্তর যেন কারও কাছে নেই। শেষ বাঁশি বাজতেই সতীর্থদের কান্না। পুরো গ্যালারিতে এমন অনেক অনেক সমর্থককে দেখা গেল, চোখের জল ঢাকার চেষ্টা করছেন। ম্যাচ শেষ হতেই মাঠ প্রদক্ষীণ করেন ক্যাপ্টেন। আবেগ আটকানো সম্ভব হয়নি। শেষ বার যখন টানেল দিয়ে মাঠে ঢুকলেন, গার্ড অব অনার দেওয়া হল। প্রয়োজন ছিল একটা ব্রেক!
সুনীল ছেত্রীর জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার ব্যবস্থা ছিল। ড্রেসিংরুম থেকে অন্য সুনীল বেরোলেন। ততক্ষণে কিছুটা হয়তো নিজেকে বোঝাতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি প্রাক্তন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা সোনার চেন উপহার সুনীল ছেত্রীকে। ১৯ বছর দেশের হয়ে খেলেছেন সুনীল। ১৯টা গিনির কাজে সোনার চেন। সেই গিনির ডিজাইন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান কর্তারাও উপস্থিত। সঙ্গী ভারতীয় ফুটবলের নানা কিংবদন্তি। ক্যাপ্টেনের পাশে থাকলেন সকলেই। গ্যালারি থেকে বারবার সেই চেনা ধ্বনি, ছেত্রী…ছেত্রী…। একের পর এক স্মারক জমা হচ্ছিল সুনীলের ক্যাবিনেটে। বাবা, মা, স্ত্রী। পরিবারের সকলেই উপস্থিত। ম্যাচ শেষে সুনীলের সঙ্গে তাঁর পরিবার। আর ফুটবল পরিবারও। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট তুলে দিলেন বিশেষ স্মারক। প্রাক্তন সতীর্থরা সুনীলের সঙ্গে ফটোসেশন করলেন। এ বার সময়, সুনীলের বলার।
অনেক কষ্টে শুরু করলেন, ‘যাঁরা গত ১৯ বছর ধরে আমাকে একটা মুহূর্তের জন্যও সামনে থেকে কিংবা ভিডিয়োতে খেলতে দেখেছেন, অটোগ্রাফ নিয়েছেন, ভরসা করেছেন, প্রত্যেককে ধন্যবাদ। মন থেকে একটা কথা বলতে চাই, সকলে ভালো থাকবেন। প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ।’