
শুভদীপ মুন্সী
কলকাতা: এই বছরের মতো ফুটবল মরসুম শেষের পথে। শেষ টুর্নামেন্ট হিসেবে কলিঙ্গ সুপার কাপ চলছে ভুবনেশ্বরে। এক ছাদের তলায় আইএসএল ও আই লিগের মোট ১৫টি দল খেলছে এই নকআউট প্রতিযোগিতায়। আর সেই টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে একাধিক ফুটবল এজেন্টদের। নতুন মরসুমের জন্য প্লেয়ার বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। এঁদের হাত ধরেই ঠিকানা বদল হবে অনেকের। আই লিগ থেকে আইএসএলে উত্তরণ হবে অনেকের। এই এজেন্টরা কাদের টার্গেট করছেন? কীভাবে কাজ করেন এঁরা?
ভারতীয় ফুটবলে এখন এজেন্টদের দাপট অনেক বেশি। ভালো দল তৈরি করার জন্য প্রত্যেক ক্লাবের কর্তাদের এই এজেন্টদের শরণাপন্ন হয়। ভারতীয় প্লেয়ার হোক বা বিদেশি প্লেয়ার, সকলের ‘গড ফাদার’ এখন এই এজেন্টরাই। অতীতে ভারতীয় ফুটবলে স্পটারের কাজটা করতেন ক্লাব কর্তারাই। বিভিন্ন রাজ্যের ফুটবল লিগ বা টুর্নামেন্ট ঘুরে ঘুরে দেখতেন তাঁরা। সন্তোষ ট্রফিতে থেকে তুলে আনতেন প্লেয়ার। সই করাতেন ক্লাবে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের কর্তারা এ ভাবেই কাজ করতেন। এমনকি বিদেশেও দেখতে যেতেন ম্যাচ। সেখান থেকে প্লেয়ার বাছাই করে নিয়ে আসতেন। সময় বদলেছে। এখন প্লেয়ার বাছাইয়ের কাজ করে এই এজেন্টরা। তাঁরা একাধিক উঠতি প্লেয়ার থেকে ফুটবলার বাছাই করে নিজেদের এজেন্সিতে সই করায়। তাঁরাই ঠিক করেন সেই প্লেয়ারদের বাজার মূল্য। ক্লাবগুলো প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলার আগে তাঁদের এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে। তবেই নতুন বা পুরনো প্লেয়ারকে সই করানো যায়।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন প্লেয়াররা উপকৃত হচ্ছে, তেমন এই ফুটবল এজেন্সিগুলিও নিজেদের পকেট ভরাচ্ছে। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও আছে। সেভাবে পারফর্ম করতে না পারা প্লেয়ারদের এইসব এজেন্সি চড়া দামে বিভিন্ন ক্লাবে গছিয়ে দেয়। কলিঙ্গ কাপে এই এজেন্টদের দাপট এই কারণেই দেখা যাচ্ছে। কোন প্লেয়ারকে নিজেদের জালে তোলা যায়, সেই পরিকল্পনায় ব্যস্ত তাঁরা। সামনেই শুরু হবে নতুন মরসুম। তার আগে নিজেদের ঝুলি ভরিয়ে নিতে চাইছেন এজেন্টরা।