Nico Williams Journey: সাহারার জার্নি থেকে গর্বের জার্সি, স্প্যানিশ তরুণের জীবন হার মানাবে চিত্রনাট্যকেও
Spain Football Team: টানা দু-ম্যাচ জিতে ইউরো কাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন স্পেন। পাসের বন্যায় প্রতিপক্ষকে ছাড়খাড় করেছে তারা। তবে এ বারের পাস সেই পুরনো ধাঁচের নয়। প্রচণ্ড গতি। প্রতিপক্ষ শিবির আক্রমণে ওঠার সুযোগই পাচ্ছে না! ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে স্পেন। গোলটা আত্মঘাতী। কিন্তু সেই গোলের নেপথ্যে নিকো উইলিয়ামসই।
ফুটবল এবং জীবনের টানে! আফ্রিকার ছোট্ট একটি দেশ ঘানা। ভালো ভাবে বাঁচতে ইউরোপে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন মারিয়া ও ফেলিক্স। চাইলেই তো আর হয় না! এর জন্য অর্থ। সঞ্চয়ের সবটা দিয়েছেন পাচারকারীদের। তাতেও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বেশ কয়েকবার এমন ঘটেছে মারিয়া ও ফেলিক্সের সঙ্গে। ধরা পড়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে চেষ্টা থামাননি তাঁরা। এ বারও বাধা। আরও বড় রকমের। যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউরোপে পৌঁছে দেওয়ার, জীবনের সঞ্চয় যাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, মাঝ রাস্তাতেই পালিয়ে যান। সাহারা মরুভূমি, ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, খালি পা। তাতেই হেঁটেছেন মারিয়া ও ফেলিক্স। অবশেষে পৌঁছেছিলেন স্পেনের শহর মেলিয়াতে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কে এই মারিয়া ও ফেলিক্স! আসলে গল্পটা শুধু তাঁদের নয়, বরং তাঁদের জন্যই আজ ফুটবল বিশ্ব পেয়েছে নিকো উইলিয়ামসকে।
টানা দু-ম্যাচ জিতে ইউরো কাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন স্পেন। পাসের বন্যায় প্রতিপক্ষকে ছাড়খাড় করেছে তারা। তবে এ বারের পাস সেই পুরনো ধাঁচের নয়। প্রচণ্ড গতি। প্রতিপক্ষ শিবির আক্রমণে ওঠার সুযোগই পাচ্ছে না! ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে স্পেন। গোলটা আত্মঘাতী। কিন্তু সেই গোলের নেপথ্যে নিকো উইলিয়ামসই। আর এক তরুণ সতীর্থ লামিনে ইয়ামালকে নিয়ে দু-প্রান্ত দিয়ে এত গতিতে বারবার আজুরিতে বক্সে ঢুকেছেন, সেখানে প্রচণ্ড গতির পাসের জাল বুনেছেন, নিজেদের ছাড়ানোর কোনও পথই খুঁজে পাচ্ছিল না ইতালি।
ইতালির বিরুদ্ধে প্রায় ৬০০ পাস খেলেছে স্পেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ নিখুঁত পাস। আর এতে বড় ভূমিকা রয়েছে নিকো উইলিয়ামসের। ইতিমধ্যেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কিছু বড় ক্লাব তাঁকে টার্গেট করছে। এই সফরটা এত সহজ ছিল না যদিও…। তার জন্য আবারও ফিরতে হয় মারিয়া ও ফেলিক্সে। তাঁরা যখন সাহারা মরুভূমি হয়ে স্পেনের শহর মেলিয়ায় পৌঁছন, মারিয়ার গর্ভে ইনাকি। তিনিও ফুটবলার। মারিয়ার ছোট ছেলে নিকো উইলিয়ামসের জন্ম স্পেনের প্যামপ্লোনাতে। স্থানীয় ক্লাবেই ফুটবলে পা। ওসাসুনা হয়ে অবশেষে সুযোগ মেলে স্পেনের অতি পরিচিত ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওতে। ২০২১ সালে সিনিয়র টিমে সুযোগ।
ক্লাব ফুটবলে যেমন ধীরে এগিয়েছেন, জাতীয় দলেও। স্পেন অনূর্ধ্ব ১৮, ২১ দলে খেলে এরপর সিনিয়র দলে সুযোগ। মা-বাবার সেই সাহারা মরুভূমির ৫০ ডিগ্রিতে বালির সফরটাই যেন সোনার অলঙ্কারে পরিণত করেছেন নিকো উইলিয়ামসকে। প্রতি ম্যাচেই উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে নজরে পড়ছেন বড় ক্লাবগুলির।