AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Georgina Rodriguez: ওয়েটার, সাফাইকর্মী থেকে মডেল! রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনার কাহিনি চোখে জল আনবে…

জর্জিনা রড্রিগেজের বর্তমান লাইফস্টাইল দেখলে অনেকেই ভাবতে পারবেন না, তিনিও কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। সেই কষ্টের কাহিনি এ বার শোনালেন রোনাল্ডোর মনের মানুষ।

Georgina Rodriguez: ওয়েটার, সাফাইকর্মী থেকে মডেল! রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনার কাহিনি চোখে জল আনবে...
ওয়েটার, সাফাইকর্মী থেকে মডেল! রোনাল্ডোর বান্ধবীর গল্প চোখে জল আনবে...
| Updated on: Apr 20, 2025 | 6:00 PM
Share

পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) জীবন সংগ্রামের গল্প কমবেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজের (Georgina Rodriguez) জীবন সংগ্রামের কাহিনি কতজনেরই বা জানা! তাঁর বর্তমান লাইফস্টাইল দেখলে অনেকেই ভাবতে পারবেন না, তিনিও কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। সেই কষ্টের কাহিনি এ বার শোনালেন রোনাল্ডোর মনের মানুষ।

এক ভিডিয়োতে জর্জিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেকেই আমাকে চেনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পার্টনার হিসেবে। আমার জীবনটা এত সহজ ছিল না। স্পেনের এক ছোট্ট শহরে আমার জন্ম। যেখানে জনবসতি ১৩ হাজার। আমার বাবা আর্জেন্টিনার। মা স্প্যানিশ। আমাদের জীবনটা সহজ ছিল না। যখন আমার মাত্র ৯ বছর বয়স, সেই সময় আমার বাবা সংশোধনাগারে যান। আমার মা-কে একা আমাকে ও বোনকে বড় করতে হয়েছিল। আমি নাচ করতে ভালোবাসতাম। কিন্তু তা দিয়ে আমি কেরিয়ার গড়তে পারতাম না। তাই আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। যা যা করতে পারি, সেগুলোই করতাম। ওয়েটার, সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করেছি। এরপর আমি মাদ্রিদে গিয়ে গুচির দোকানোর সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলাম। তখন এক সপ্তাহে মাত্র ২৫০ পাউন্ড রোজগার করতাম। প্রতিদিন একই কাজ থাকত। এরপর একটা ভাড়া নেওয়া ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে যেতাম। জীবনটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি।’

কীভাবে বদলে গিয়েছে জর্জিনার জীবন?

সফল মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার জর্জিনা বলেন, ‘এরপর একদিন আমার জীবন বদলে যায়। আমাকে এক ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার কথা বলা হয়। সেই ক্লায়েন্ট ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম দেখাতেই আমরা একে অপরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। কয়েক মাস পরই আমরা ডেট করা শুরু করি। বাসে চড়ে কাজ করতে যেতাম। রোনাল্ডোর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বুগাটিতে চড়তে শুরু করি। গুচির কাজ ছেড়ে দিয়ে ওর (রোনাল্ডোর) জগতে প্রবেশ করি। এই জীবনটা আমি জীবনেও কল্পনা করিনি। প্রাইভেট জেটে চড়ি এখন। যা ইচ্ছে হয়, সেটাই কিনতে পারি। আর এই সব জিনিসের থেকেও যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আমার একটা পরিবার রয়েছে। এখন শুধু আমি রোনাল্ডোর পার্টনারই নই। একজন মা, একজন মডেল, একজন ইনফ্লুয়েন্সারও। আমার ৬০ মিলিয়ন ফলোয়ার্স। আমি পরিবারের পাশে থাকার জন্য় কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।’

সম্প্রতি এক ভিডিয়োতে জর্জিনা এও বলেছেন যে, ‘আমি যখন প্রথম প্রথম রোনাল্ডোর বাড়িতে যেতাম, প্রতিবারই রান্নাঘরে জল আনতে গেলে হারিয়ে যেতাম। কারণ বাড়িটি খুবই বড় ছিল। মাঝে মাঝে বসার ঘরে ফিরে আসতে আমার আধ ঘণ্টা সময় লেগে যেত। আমি একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে অভ্যস্ত ছিলাম। রোনাল্ডোর বাড়ি সম্পর্কে জানতে আমার প্রায় ৬ মাস সময় লেগেছিল।’

একসময় জর্জিনা তাঁর পরিবারকে নিয়ে একটি ছোট গুদাম ঘরে থাকতেন। তাঁদের এসি বা হিটার কেনারও টাকা ছিল না। এখন তাঁর জীবন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। জর্জিনার জীবনধারা এখন খুবই বিলাসবহুল। তিনি ৪৮ কোটির একটি বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। বুগাটি, রোলস-রয়েস এবং ফেরারির মতো বহুমূল্য গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। প্রাইভেট জেটে যাতায়াত করেন।