লন্ডন: শেষ বেলায় ভেস্তে গেছে তাঁর ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City) যাত্রার পরিকল্পনা। কিন্তু কোনও ভাবেই টটেনহ্যামে (Tottenham Hotspur) থাকতে রাজি নন ইংল্যান্ড (England) অধিনায়ক হ্যারি কেন (Harry Kane)। ক্লাবের দেওয়া নতুন চুক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যদিও তখন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে কথা চলছিল হ্যারির। তাই টটেনহ্যামের প্রস্তাবে সেভাবে আমল দেননি। এখন বিপাকে ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
এখনও টটেনহ্যামের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি বাকি হ্যারি কেনের। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ২ লক্ষ ৩০ হাজার ইউরো বেতন পান। ম্যান সিটি ও হ্যারির আলোচনার সময় সেই টাকার পরিমাণ ১ লক্ষ ইউরো বাড়িয়ে দেয় টটেনহ্যাম। কিন্তু সাপ্তাহিক ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ইউরোর সাপ্তাহিক পারিমশ্রমিকে নতুন চুক্তি করতে রাজি হননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
ইংলিশ ক্লাবে খেলা ফুটবালরদের মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন পান ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডিও কেভিন ডি ব্রুইন। প্রতি সপ্তাহে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ইউরো। এর পরই আছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড গোলকিপার ডেভিড দি গিয়া। তাঁর আর্থিক চুক্তির পরিমান প্রতি সপ্তাহে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ইউরো।
হ্যারি কেন টটেনহ্যামের কাছে দাবি করেছিলেন ইংল্যান্ডের সব থেকে বড় আর্থিক চুক্তি। তাঁর দাবি প্রতি সপ্তাহে ৪ লক্ষ ইউরো। কিন্তু এত পরিমাণ টাকা দিতে রাজি ছিল না ক্লাব। তাই নতুন ক্লাবের খোঁজে বেরিয়ে পরেছিলেন হ্যারি কেন। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ইউরোর প্রস্তাব। এখন হ্যারি বিপাকে। নতুন ক্লাবও পেলেন না, আর বর্তমান ক্লাবের নতুন প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ফুটবল মহলের মতে বেশি দিন হ্যারিকে ধরে রাখতে পারবে না টটেনহ্যাম। যতই ক্লাব সমর্থকদের ভালোবাসার কথা মুখে বলুন না কেন, একজন পেশাদার ফুটবলার কম টাকায় শুধু আবেগ মাথায় রেখে খেলবে না। অনেকের মতেই চলতি মরসুমের দ্বিতীয় উইন্ডোতে আবার ক্লাব ছাড়ার চেষ্টা করবেন হ্যারি। সেসময় নতুন ক্লাব পেলে ভাল, না পেলে আগামী মরসুমে নিশ্চিত ভাবেই টটেনহ্যাম জার্সি ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: টটেনহ্যামেই থাকছেন হ্যারি কেন