AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gareth Southgate: সাউথগেটের বিদায় নিশ্চিত? ইংল্যান্ডের কোচ কি এ বার পচেত্তিনো?

Mauricio Pochettino: পর পর স্বপ্নভঙ্গের পর কি নিজেদেরকে গুছিয়ে তুলতে পারবে ইংল্যান্ড দল? সাউথগেট থেকে বেরিয়ে নতুন কোচের হাতে পড়ে স্বপ্ন সফল করার রাস্তা খুঁজছে ইংল্যান্ড।

Gareth Southgate: সাউথগেটের বিদায় নিশ্চিত? ইংল্যান্ডের কোচ কি এ বার পচেত্তিনো?
Image Credit: twitter
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 10:02 PM
Share

লন্ডন: ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড। অন্যান্য বারের মতো এ বার ইংল্যান্ডকে নিয়ে কম প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু বরাবরের মতো ফুটবলের মহামঞ্চে আবার হতাশ করেছেন হ্যারি কেনরা। এই নিয়ে মোট ৬বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সর্বাধিক। এ ছাড়াও রয়েছে ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার। ২০২০ সালের ইউরো কাপে ইতালির কাছে ফাইনাল হারের দুঃখ। এই পরিস্থিতিতে গ্যারেথ সাউথগেটের পরিবর্ত হিসেবে ভেসে আসছে কোচ থমাস তুচেলের নাম। চেলসির মতো ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০২০-২১ মরসুমে তুচেলের চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

তুচেলের পাশাপাশি আরও এক কোচের নাম রয়েছে তালিকায়। প্রাক্তন টটেনহ্যাম ও পিএসজির কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড দলের কোচ হতে তিনি ইচ্ছুক। এ বছর পিএসজি থেকে সরানোর পর আপাতত কোনও টিমের দায়িত্বে নেই এই আর্জেন্টাইন কোচ। ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে তাঁকে হয়তো দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্বে।

২০১৯ সালে টটেনহ্যাম ছেড়ে পচেত্তিনো বেরিয়ে আসার পর ওই খুব কম প্লেয়াররা ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে শুধুমাত্র রয়েছেন অধিনায়ক হ্যারি কেন এবং এরিক দিয়ার। পচেত্তিনোর আগমনের পর ইংল্যান্ডের ফুটবল স্টাইলও বদলে যেতে পারে। দেখা যেতে পারে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। ২০২৬ বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছে হ্যারি কেনের বয়স দাঁড়াবে ৩৩। কিন্তু বর্তমানে দেশের সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে তখনও তাঁকে দেখা যাবে, আশা করা যায়। গোল রক্ষক হিসেবে পিকফোর্ডের জায়গায় আসতে পারেন আরন ব়্যামসডেল। আর্সেনালের এই তারকার বয়স কম। পচেত্তিনোর পছন্দ হিসেবে দেখা যেতে পারে আগ্রাসী ফুলব্যাক। ডান দিকে রিস জেমস্ এবং বাঁ দিকে রায়ান সেসেগন, যাঁকে ২০১৯ সালে টটেনহ্যামে নিজে তুলে এনেছিলেন পচেত্তিনো। সেন্টার ব্যাক হিসেবে ম্যাগুয়ের এবং স্টোন্সের পরিবর্তে থাকতে পারেন দুই তরুণ প্রতিভা মার্ক গেহি ও টোমোরি। মিডফিল্ডে থেকে যেতে পারেন বর্তমানের তরুণরা। ফডেন, বেলিংহ্যাম এবং ডেক্ল্যান রাইস। এ ছাড়াও অ্যাটাকে থেকে যেতে পারে বুকায়ো সাকা, জর্ডন স্যাঞ্চো এবং মার্কাস ব়্যাশফোর্ডদের। যাঁরা আগামী দিনে আরও বেশি প্রগতিশীল হয়ে উঠতে পারেন। এঁদের সঙ্গে দেখা যেতে পারে ননি ম্যাডেকের মতো নতুন তারকাকে। ইতিমধ্যেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এই পিএসভি তারকা।

পর পর স্বপ্নভঙ্গের পর কি নিজেদেরকে গুছিয়ে তুলতে পারবে ইংল্যান্ড দল? সাউথগেট থেকে বেরিয়ে নতুন কোচের হাতে পড়ে স্বপ্ন সফল করার রাস্তা খুঁজছে ইংল্যান্ড।