AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Qatar Stadium: আমেরিকা থেকে ঘাসের বীজ এনে কাতারে তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম!

Qatar World Cup: বিশ্বকাপের জন্য কাতার কয়েক'শো টন ঘাসের বীজ আনিয়েছে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রক এক বিশেষ বিমানে করে আমেরিকা থেকে আনানো হয়েছে এই বীজ।

Qatar Stadium: আমেরিকা থেকে ঘাসের বীজ এনে কাতারে তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম!
কাতারের স্টেডিয়াম
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2022 | 7:30 AM
Share

দোহা: কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েই শুরু থেকেই চলেছে বিতর্ক। এই বিশ্বকাপের আগে ফুটবলের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিকাঠামোও ছিল না এই দেশে। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চেষ্টার কসুর করেনি মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ। বেশ কয়েকটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করেছে ওই দেশ। সেই সব স্টেডিয়াম তৈরির জন্য আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয়েছে বিশেষ ধরনের ঘাসের বীজ। গরমকালে কাতারে তাপমাত্রা থাকে অনেক বেশি। যার জেরে সেখানকার ঘাসের অবস্থায় যায় শুকিয়ে। গরমে মাঠের অবস্থা ঠিক রাখতে কাতার কী করেছে, তা তুলে ধরল TV9 Bangla।

বিশ্বকাপের জন্য কাতার কয়েক’শো টন ঘাসের বীজ আনিয়েছে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রক এক বিশেষ বিমানে করে আমেরিকা থেকে আনানো হয়েছে এই বীজ। দোহার আটটি স্টেডিয়ামকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে ওই ঘাস দিয়ে। পাশাপাশি অনুশীলনের স্টেডিয়ামগুলিও ওই বিশেষ ধরনের ঘাস দিয়ে সাজিয়েছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার। এ নিয়ে টার্ফ বিশেষজ্ঞ ডেভিড গ্রাহাম বলেছেন, “কাতারের যা আবহাওয়া তাতে সঠিক মানের ঘাস পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়।”

গরমে স্টেডিয়ামের মাঠ ঠিক রাখতে গ্যালন গ্যালন জল ব্যবহার করেছে কাতারের স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক দিক প্রত্যেক টার্ফে ৫০ হাজার লিটার সমুদ্রের জল দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের সময় যে রকম আবহাওয়া থাকে সেখানে, সেই মতো স্টেডিয়ামগুলিকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কাতার কর্তৃপক্ষ।

অতিরিক্ত জল দেওয়া হলে ঘাসে ছত্রাক জন্মাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তা যাতে না হয় সে জন্য বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেছে কাতার। এর পাশাপাশি দোহার একটি সংস্থা এই ঘাসের উৎপাদন করে বিকল্পের ব্যবস্থাও করে রেখেছে। বিশ্বকাপের আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি পাউন্ড। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে কোনও একটি বিশ্বকাপ আয়োজনে এই পরিমান খরচ হয়নি। জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছর ধরেই বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাতার। যদিও স্টেডিয়ামের ঘাসের এই কাজ তারা করেছে গত তিন মাস ধরে।