সাফ কাপের প্রস্তুতি শুরু সুনীলদের
কেরিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে আরও একটা সাফ কাপের আগে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সোশ্যাল মিডিয়ায় সঙ্গে খোলা মেলা আড্ডা অধিনায়কের।
মালে: ২০১৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার সাফ (SAFF) কাপের মঞ্চে নেমেছিলেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। তারপর থেকে টানা খেলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। অনেক ঘাত প্রতিঘাত দেখেছেন। কেরিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে আরও একটা সাফ কাপের আগে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সোশ্যাল মিডিয়ায় সঙ্গে খোলা মেলা আড্ডা অধিনায়কের।
?️ @chetrisunil11: @bhaichung15, @jejefanai, @eugeneson10 the best I’ve played with, in SAFF Championships ?
Read ? https://t.co/jxFYx1JQ2g#SAFFChampionship2021 ? #BackTheBlue ? #BlueTigers ? #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/pKO5UuJxNq
— Indian Football Team (@IndianFootball) September 30, 2021
প্রিয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
২০১৫-১৬ সালে কেরালায় খেলা সাপ কাপটা আমার কাছে সেরা। সেবার ফাইনালে আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলেছিলাম আমরা। তরুণ দল ছিল আমাদের। মাত্র ১৯ জনের দল। প্রথম ম্যাচেই রবিন সিং চোট পয়েছিল। ফাইনালে মাঠে ৪০ হাজার দর্শক এসেছিল আমাদের উত্সাহ দিতে।
প্রিয় গোল
২০১৫-১৬ সালের টুর্নামেন্টের ফাইনালে জেজে লালপেকলুয়ার গোলটা আমার কাছে সেরা গোল। খুব কঠিন ম্যাচ ছিল। ০-১ এ পিছিয়ে ছিলাম আমরা। যে ভাবে আর যে সময় জেজে গোলটা করেছিল সেটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ওই গোলটা না পেলে চাপে পড়ে যেতাম আমরা। হয়তো ফলাফলটাও আলাদা হত। ২-১ জিতেছিলাম আমরা।
কঠিনতম ম্যাচ
বেশ কয়েকটি কঠিন ম্যাচ খেলেছি আমরা। যদি যে কোনও একটা ম্যাচ বাছতে হয়, তা হলে ২০১৩ সালে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটার কথা বলব। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ছিল। মাঠ ভর্তি দর্শকের সমানে আমরা ১-২ হেরেছিলাম। ওটাই সব থেকে কঠিন ম্যাচ ছিল আমার কাছে।
মাঠ ও মাঠের বাইরের প্রিয় বন্ধু
লম্বা সময় ধরে খেলছি। অনেক ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। যদি মাঠের হিসেব ধরি, তা হলে বলব বাইচুংভাই (Bhaichung Bhutia) আর জেজের (Jeje Lalpekhlua) কথা। ওদের সঙ্গে বোঝাপড়া দারুণ ভাবে গড়ে উঠেছিল। তবে মাঠের বাইরের কথা যদি বলি, বলতে হবে ইউজিংসন লিংডোর কথা। আমরা খুব ভালো বন্ধু।
সাফ কাপে প্রিয় ফুটবলার
সাফ কাপে দল হিসেবে আমরা সব সময় দাপট দেখিয়েছি। তবে প্রিয় ফুটবলার হিসেবে আমি অন্য দেশের এক ফুটবলারের নাম বলব। আমার সব সময়ের প্রিয় আলি আসফাক। বল পায়ে ও ভয়ঙ্কর ছিল।