
কলকাতা: দিন পনেরো আগেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন। বহু প্রতীক্ষিত ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে সুপার সাব দিমির জোড়া গোলেই হাজার ওয়াটের আলো জ্বলেছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে। ডার্বির নায়ক আবার সেমিফাইনালে ভিলেনও হয়েছিলেন। ডায়মন্ডহারবার এফসির বিরুদ্ধে একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। গত মরসুমেই ২ বছরের চুক্তিতে দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোসকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গ্রীক ফরোয়ার্ডকে এবার মরসুমের মাঝপথেই ছেড়ে দিল ক্লাব।
এই মরসুমের শুরু থেকেই দিমির থাকা না থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ডুরান্ডে দিমিকে রেখেই দল তৈরি করেছিলেন অস্কার ব্রুজো। হামিদ এহদাদকে এ বছর দলে নিলেও দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোসকে দলে রেখেছিল লাল-হলুদের টিম ম্যানেজমেন্ট। ডুরান্ড শেষ হতেই এবার তাঁর সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সেরে ফেললেন কর্তারা। সুপার কাপ দিয়ে এবার ফুটবল মরসুম শুরুর পরিকল্পনা করেছে ফেডারেশন। কয়েকদিন বাদেই শুরু সুপার কাপ। ফিফা ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হতেই দিমির দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিল ম্যানেজমেন্ট।
গত মরসুমে ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোস। এবছর অবশ্য গোল পাচ্ছিলেন। তবে মরসুম শুরুর পর ম্যানেজমেন্ট কেন তাঁকে ছেড়ে দিল সে প্রশ্ন ঘুরছে ময়দানে। ফ্রী ফুটবলার ছাড়া এই মুহূর্তে জানুয়ারির আগে নতুন কোনও বিদেশি ফরোয়ার্ড নিতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। অ্যাটাকিং মিডিও মাদিহ তালাল চোট সারিয়ে ফিট হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বছরের গোড়া থেকেই চোটের জন্য মাঠের বাইরে। তবে মরসুম শুরুর পর দিমিকে হঠাৎ কেন ছাড়ল ম্যানেজমেন্ট সেই ধোঁয়াশা রয়েই গেল।