
কলকাতা: দীর্ঘ কয়েক বছর বাদে ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুমে ফিরলেন সন্দীপ নন্দী। এবার নতুন ভূমিকায় ফিরলেন আশিয়ান কাপজয়ী এই গোলকিপার। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিং জীবনকে বেছে নেন সন্দীপ। রয়েছে এএফসি গোলকিপিং ‘এ’ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। এবার ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার। নতুন গোলকিপিং কোচ বাছাইয়ের জন্য বেশ কয়েকজনের ইন্টারভিউ নেন ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজো আর হেড অব ফুটবল থাংবই সিংটো।
লাল-হলুদের হয়ে নতুন দায়িত্ব দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করতে চান সন্দীপ নন্দী। ডুরান্ড কাপই প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। রবিবার থেকেই শুরু হল ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ডের প্রস্তুতি। নিয়মিত ভারতীয় ফুটবলের বিভিন্ন লিগের খেলা দেখেন সন্দীপ। ইস্টবেঙ্গলের খেলাও নিয়মিত ফলো করেছেন এতদিন।
এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান গোলকিপার প্রভসুখন গিল। গত মরসুমে অবশ্য বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাঁর দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। ইস্টবেঙ্গলের সংসারে ফিরে আগে সেই দিকেই নজর দিচ্ছেন আশিয়ানজয়ী গোলকিপার। দেশের প্রতিশ্রুতিমান গোলকিপারদের মধ্যে গিল অন্যতম। অ্যারোজে যখন ও খেলতেন, তখন থেকেই তাঁকে চেনেন সন্দীপ। নিজের অভিজ্ঞতাকেই এবার কাজে লাগাতে চান। মূলত গিলের ফিটনেস, পজিশনিং সেন্স, গেম মেথোড দেখার পরই দুর্বলতা নজরে পড়লে তা শুধরে দিতে চান। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে ভারতের প্রাক্তন গোলকিপার একটা কথা প্রায়শই বলতেন। যদি কখনও কোনও দলের দায়িত্ব নেন, তাহলে নিজেরা ঠিক যেভাবে বড় হয়েছেন, সেভাবেই নতুন গোলকিপারদের গড়ে তুলতে চান। গিল ছাড়াও দেবজিতের মতো অভিজ্ঞ গোলকিপারও আছে ইস্টবেঙ্গলে।
শেষ কয়েকবছর ধরেই আইএসএলে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। গত বছর ট্রফিহীন থাকতে হয়েছে সিনিয়র টিমকে। এবছর শুরু থেকেই দলগঠনে জোর দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। বড় নামের পিছনে না ছুটে সঠিক পজিশনের জন্য সঠিক ফুটবলার রিক্রুটের কাজে নেমেছেন কর্তারা। অন্যান্য পজিশনের জন্য কোচ বা সাপোর্ট স্টাফের নজর থাকলেও, তিন কাঠির তলায় গোলকিপারদের সচেষ্ট রাখার কাজ করতে হবে সন্দীপকেই। গত বছর গোলকিপিং কোচের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। এবারে সন্দীপের কাজটা তাই চ্যালেঞ্জিং।
২০১২ তে চার্চিলে খেলার সময় থেকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজোকে চেনেন সন্দীপ নন্দী। সেই সময় অস্কার স্পোর্টিংয়ে কোচিং করাতেন। গোয়াতে সেই সময় থেকেই দু’জনের পরিচয়। কোচ সুভাষ ভৌমিকের আমলে ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন সন্দীপ। সেই সময়ই আশিয়ান কাপ জেতে লাল-হলুদ। গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত গোলকিপিং করেন এই বঙ্গতনয়। পরবর্তীতে মরগ্যান জমানায় ফের ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। সেবারও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-হলুদ।