ভোরবেলা শহরে পৌঁছেছেন। সন্ধ্যায় বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল এরিয়ায়। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে অভিষেক সুখকর হল না। এ মরসুমে টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হারের হ্যাটট্রিকের পরই দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর পরিবর্তে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ আর এক স্প্যানিশ অস্কার ব্রুজো। ভারতীয় ফুটবলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এশিয়ায় কোচ হিসেবে দুর্দান্ত সাফল্য। ইস্টবেঙ্গলে অভিষেক হল বড় ম্যাচ হেরে। কী বলছেন অস্কার?
ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে থাকলেও সেই অর্থে এখনও দায়িত্ব নেননি অস্কার ব্রুজো। টিমকে প্র্যাক্টিস করানোর সুযোগ হয়নি। বোঝাপড়া দূর-অস্ত। শুরুতেই মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এবং হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ০-২ ব্যবধানে হার ইস্টবেঙ্গলের। আধা দায়িত্বের পরও দায় পুরোটাই নিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো। যুবভারতীতে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লাল-হলুদ কোচ।
অস্কার ব্রুজো বলছেন, ‘আমি এই হার নিজের কাঁধেই নিচ্ছি। চেয়েছিলাম আমার উপস্থিতিতে দল ঘুরে দাঁড়াক। তাই ডার্বির ডাগ আউটে থেকেছি। প্রথম ৩৫ মিনিট সেটা কাজও করেছে। গোল হজমের পর ফুটবলাররা স্নায়ুর যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে। মানসিক ভাবে এই দলের শক্তিশালী হওয়া দরকার। শারীরিক ভাবে এই দলের আরও ফিট হওয়া দরকার। আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত। জয়ের খিদে দেখানো উচিত।’
পাশাপাশি পরবর্তী লক্ষ্য সম্পর্কেও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অস্কার। বলেন, ‘যে কোনও কোচের সাধারণত ১০০ দিনের দরকার হয় একটা ভালো দল তৈরি করতে। আমি মাঝখানে দায়িত্ব নিয়েছি। আইএসএলের পাশাপাশি এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগও আছে। দেখা যাক।’