কলকাতা লিগের মিনি ডার্বি জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিল মোহনবাগান। অন্য দিকে, টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লান্ত ইস্টবেঙ্গল। সুযোগ ছিল, ঘুরে দাঁড়ানোর। সমস্ত হতাশাকে বাড়তি তাগিদে পরিণত করার। টেকনিক্যাল এরিয়ায় ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোও। কিন্তু কোনও কিছুতেই পরিসংখ্যান বদলাল না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মুখোমুখি সাক্ষাতে এর আগে ৭ বার জিতেছিল মোহনবাগান। একটি ম্যাচ ড্র। জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। তেমনই এ মরসুমের আইএসএলেও প্রথম জয়ের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের ইচ্ছেপূরণ হল না। আইএসএলে আধিপত্য বজায় রইল মোহনবাগানেরই। মরসুমের প্রথম ডার্বিতে ২-০ জয় সবুজ মেরুনের।
ম্যাচে সেই অর্থে সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে অবিশ্বাস্য সেভ প্রভসুখন গিলের। গত দুই ম্যাচে দেবজিৎ মজুমদারকে খেলানো হয়েছিল গোলে। বড ম্যাচে প্রভসুখনে ভরসা রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে গোল সেভের পরই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। অফসাইডে মোহনবাগানের গোল বাতিল হয়। ২৫ মিনিটে ফের সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। মনবীরের হেডার বাঁচান প্রভসুখন। হেক্টর ইউস্তে এবং আনোয়ার আলি বাকি দায়িত্বটুকু পালন করেন। মাঝে মাদিহ তালাল একটা সুযোগ পেলেও গোলে বল রাখতে পারেননি।
বিরতির আগেই অবশ্য মনবীরের পাসে জেমি ম্যাকলারেনের গোল। আইএসএলে তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচ, দ্বিতীয় গোল। বড় ম্যাচেও গোলের খাতা খুলে ফেললেন ম্যাকলারেন। ৪১ মিনিটে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স পজিশনেই ছিল না। ডান দিক থেকে উঠছিলেন মনবীর। ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। মনবীরের পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় সহজ ফিনিশ ম্যাকলারেনের।
ঘুরে দাঁড়ানো দূর-অস্ত। উল্টে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি উপহার ইস্টবেঙ্গলের। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস ধরে এগোচ্ছিলেন পেত্রাতোস। বল তাঁর পা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফাউল প্রভসুখনের। পেনাল্টি থেকে ২-০ করেন দিমি পেত্রাতোস। ৪০০তম কলকাতা ডার্বি, মাইলফলকের ম্যাচে জিতল মোহনবাগান।