কলকাতা: খারাপ সময় যেন পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। হার, চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যা একের পর এক বিপর্যয় এসেই চলেছে লাল-হলুদে। নতুন বছরেও পাল্টাল না ছবি। ঘরের মুম্বই সিটি এফসির কাছে ২-৩ গোলে হার। লাল-হলুদ রক্ষণকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন বিপিন, বিক্রম প্রতাপরা। বৃথা গেল ডেভিড-বিষ্ণুদের লড়াই। হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তেদের পারফরম্যান্স একেবারে তলানিতে। ১১ তারিখের বড় ম্যাচের আগে আরও বড় বিপর্যয় ইস্টবেঙ্গলের।
চোটের তালিকায় এবার সংযোজন আনোয়ার আলি। মাদিহ তালাল চোট পেয়ে আগেই মরসুম থেকে ছিটকে গিয়েছেন। পরিবর্ত বিদেশি এখনও রিক্রুট করতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। সাউল ক্রেসপোর মাঠে ফিরতে আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ। চোটের তালিকায় এবার যুক্ত হল আনোয়ার আলির নাম। কোমরে চোট ছিলই। তা নিয়েই মুম্বই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। ৯০ মিনিট শেষে খোড়াতে খোড়াতে মাঠ ছাড়তে দেখা গেল জাতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডারকে। সব শেষে হুইলচেয়ারে করে স্টেডিয়াম ছাড়লেন।
শনিবারের ডার্বির আগে এ ছবি বেশ চিন্তার ইস্টবেঙ্গলের কাছে। চোটের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে চোট কতটা গুরুতর। ইস্টবেঙ্গল শিবির মনে করছে আনোয়ারের চোট গুরুতর নয়। তবে ছবি অন্য কথা বলছে। ডার্বিতে তাঁর মাঠে নামা যে বেশ সংশয়ের, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ এমনিতেই তথৈবচ। হিজাজি, হেক্টর, প্রভাত লাকরাদের জঘন্য পারফরমেন্স দেখে বিরক্ত সমর্থকরা। লিগ টেবলের ১১ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে ম্যাকলারেন, কামিংস, স্টুয়ার্ট সমৃদ্ধ মোহনবাগান লিগের মগডালে। আনোয়ার অনিশ্চিত হয়ে পড়লে অস্কার ব্রুজোর কপালের বলিরেখা যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুম্বই ম্যাচ হারের পর দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন কোচ অস্কার ব্রুজো। ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার। হাতে সময় কম। ডার্বির আগে দ্রুত নতুন বিদেশি আনতে চাইছে ক্লাব। সে সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। আদৌ লাল-হলুদে সুদিন ফেরে কিনা সেই অপেক্ষায় ইস্টবেঙ্গল জনতা।