ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখেছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২ গোলে পিছিয়ে থেকে ৪-২ ব্যবধানে জয়। মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়েই সব তছনছ। সেই ম্যাচ অবশ্য অতীত। গত ম্যাচের দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু চিন্তা রয়েছে ক্লান্তিও। পরপর ম্যাচ। আজ ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। বড় স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব বুঝেই পরিকল্পনা গড়ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বড় রকমের ধাক্কাও লেগেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মিডফিল্ডার মাদিহ তালাল। পরে টিমের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো মরসুম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। এমনিতেই চোট এবং কার্ড সমস্যায় ভুগছে লাল-হলুদ শিবির। তালালের চোট সমস্যা বাড়িয়েছে টিমের। যদিও এখান থেকে আর পিছনে হাঁটার পক্ষে নয় লাল-হলুদ শিবির।
মরসুমের শুরুতে আইএসএলে প্রথম ছয় ম্যাচে হার। এরপর ড্র। অবশেষে অষ্টম ম্যাচে গিয়ে জয়ের মুখ দেখেছিল লাল-হলুদ। পরপর দু-ম্যাচ জিতে ক্লাবের ইতিহাসও গড়েছিল। অস্কার ব্রুজো বলে আসছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের মতো টিমের জায়গা কখনও পয়েন্ট টেবলের শেষে হতে পারে না। পারফরম্যান্সে উন্নতিতে পয়েন্ট টেবলেও উঠেছে। ঘরের মাঠে আজ জামশেদপুর এফসিকে হারাতে পারলেই দশে উঠে আসবে ইস্টবেঙ্গল। কাজটা যদিও সহজ নয়। প্রতিপক্ষ টিমের প্লেয়ারদের মতো কোচ খালিদ জামিলও ফ্যাক্টর।
জামশেদপুর নিজেদের শেষ দু-ম্যাচেই জিতেছে। তাদের বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, ‘খালিদ জামিলকে বহু আগে থেকেই চিনি। ও যে ভাবে দলকে প্রস্তুত করেছে, তা প্রশংসনীয়। ওর টিম লড়াকু ফুটবল খেলে। খালিদ জামিল আরও একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিয়েছে, সুযোগ পেলে ভারতীয় কোচেরাও আইএসএলে সাফল্য দিতে পারে। পরপর জিতে আমাদের বিরুদ্ধে নামছে। আমাদের কাছে পরিষ্কার হিসেব, শক্তিশালী একটা টিমের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছি।’