Indonesia Football Stampede: ৩২ শিশু মৃত মাঠে, ভয়াবহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে ইন্দোনেশিয়া!
ইন্দোনেশিয়া সরকারের মুখ পুড়েছে এই ঘটনায়।
মালাং: ফুটবল (Football) ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় বললে ভুল হবে না। কিংবা তার থেকেও বড় কিছু বলা যেতে পারে। পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) মালাংয়ে একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনা কোনও ভাবেই ভুলতে পারছে না ফুটবল বিশ্ব। তাজা ক্ষতের মতো রক্ত ঝরাচ্ছে। হোম টিম আরেমা এফসি ২-৩ এ পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হারের পরই গ্যালারি ছেড়ে মাঠে নেমে পড়েন দর্শকরা। মাঠে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। স্টেডিয়ামের একটি মাত্রা গেট খোলা ছিল সেই সময়। সেই গেট দিয়ে সবাই মিলে হুড়মুড়িয়ে বেরোতে গিয়েই পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে ১২৫জন। ৩২৩ জন মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন। তার মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া সরকার স্বীকার করে নিল, মৃতের মধ্যে রয়েছে ৩২জন শিশুও। যে তথ্য জানার পর সারা বিশ্বে হইচই পড়ে গিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের মুখ পুড়েছে এই ঘটনায়। এক সরকারি আধিকারিক যা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে শেষ তথ্য এসেছে তা ধরলে, ১২৫ জন মারা গিয়েছে। তার মধ্যে ৩২ জন শিশু রয়েছে। যাদের বয়স ৩ কিংবা ৪।’
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রথম থেকে। ভরা স্টেডিয়ামে কেন দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ? পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তামন্ত্রী মাহফুদ এমডি বলেছেন, ‘কার নির্দেশে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসল অপরাধী কারা, তা যাতে কয়েক দিনের মধ্যে জানানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
সে দিন স্টেডিয়ামে হাজির থাকা এক সমর্থক আহমেদ রিজাল হাবিবি এখনও শিউরে উঠছেন পুরো ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে। তাঁর কথায়, ‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে কখনও পড়িনি। আমার মনে হচ্ছিল, একটা ছোট্ট টিউবে কিংবা গর্তের মধ্যে ঠেঁসে প্রচুর লোক ভরে দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে চারদিক। কিন্তু বেরোতে পারছি না আমরা। শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বেরোতে পারছি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, ‘এমন একটা ঘটনার দায় কে নেবে? তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে।’ পুলিশের দিকে যে তির, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ঘটনা হল, দু’জন পুলিশ কর্মীও মারা গিয়েছেন ওই ঘটনায়। কিন্তু পুলিশের জন্যই ওইদিন মাঠে কার্যত দাঙ্গা লেগে গিয়েছিল। অন্য ভাবেও পুলিশ সবটা সামলাতে পারত। তা কিন্তু হয়নি।