ISL 2022-23 Final: ‘বাবা, তোমাকে ট্রফিটা জিততেই হবে’, সন্তানদের স্বপ্নপূরণই লক্ষ্য মোহনবাগান ডিফেন্ডারের
ATK Mohun Bagan: এ বারের টুর্নামেন্টে সবুজ মেরুনের সবচেয়ে বড় ভরসা রক্ষণ ভাগ। গোলরক্ষক বিশাল কাইথ গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন। তাঁর সামনে ভরসা দিয়েছেন স্লাভকো দামিয়ানোভিচ, প্রীতম কোটাল, সুভাশিস বসুরা।
কলকাতা : সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। অবশেষে টাইব্রেকার। স্নায়ুর চাপ সামলে জালে বল জড়ালেন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। ফাইনাল নিশ্চিতের পরই দলের ক্যাচ লাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘আর একটা ধাপ’। সেই শেষ ধাপের ম্য়াচ খেলতেই গোয়া পাড়ি দিল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মেগা ফাইনাল। কলকাতায় এ দিনই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নিল সবুজ মেরুন। এখন আর ট্রফি ছাড়া কোনও ভাবনা নেই। এটিকে-মোহনবাগান সংযুক্তির পর তৃতীয় বার অংশ নিচ্ছে তারা। প্রতিবারই শেষ চারে উঠেছে। একবার ফাইনালে খেললেও ট্রফি অধরা। এ বার ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে সেই অধরা স্বপ্ন পূরণই লক্ষ্য। মরিয়া দিমিত্রি পেত্রাতোস, প্রীতম কোটাল, স্লাভকো দামিয়ানোভিচরা। হুয়ান ফেরান্দোর জন্য সুখবর, চোট সারিয়ে ফিরেছেন নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান। গোয়া রওনা হওয়ার আগে কী বলছেন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এ বারের টুর্নামেন্টে সবুজ মেরুনের সবচেয়ে বড় ভরসা রক্ষণ ভাগ। গোলরক্ষক বিশাল কাইথ গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন। তাঁর সামনে ভরসা দিয়েছেন স্লাভকো দামিয়ানোভিচ, প্রীতম কোটাল, সুভাশিস বসুরা। ট্রফির গন্ধ পাওয়া স্লাভকো বলছেন, “সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হাঙ্গেরিতে খেলে বেশ কয়েকবার লিগ বা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ভারতে এসে এই প্রথম আমার সামনে ট্রফি জেতার সুযোগ। কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাই না। আমার দুই মেয়ে এবং ছেলে প্রায় প্রতিদিনই ফোনে করে আবদার করছে- বাবা, তোমাকে ট্রফিটা জিততেই হবে। মন্টেনেগ্রোতে যাঁরা আমার বা আমাদের দলের খেলা দেখছে সবারই একই আবদার। আমার ছেলে-মেয়েকে ট্রফিটা উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডার্বিটা আমার মতে ছিল সবথেকে কঠিন ম্যাচ। সেটা আনায়াসে জেতার পর দল দারুণ ফর্মে আছে। কোনও ম্যাচ আমরা হারিনি। বেঙ্গালুরুও ধারাবাহিক জয় পাচ্ছে। সেটা শনিবার থামাব। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া আর কিছু ভাবছি না।”
সেমিফাইনালে গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে রুদ্বশ্বাস জয় যেন আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময়েও কেউ গোল করতে পারেনি। অবশেষে টাইব্রেকারে জয়। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ না ফাইনালের, কোন দলকে বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে দামিয়ানোভিচের? বলছেন, “বেঙ্গালুরু না হায়দরাবাদ, কোন দল বেশি শক্তিশালী বলা কঠিন। হায়দরাবাদের রক্ষণ শক্তিশালী। ওদের বিরুদ্ধে গোল করা কঠিন। আবার বেঙ্গালুরুর আক্রমণভাগ শক্তিশালী। ওদের রয় কৃষ্ণার বিরুদ্ধে আমি আগে অন্য ক্লাবের জার্সিতে দুটো ম্যাচ খেলেছি। ওকে চিনি, জানি। ভালো ফুটবলার। হায়দরাবাদের ওগবেচে বক্স স্ট্রাইকার। বক্সের মধ্যে ভয়ঙ্কর। রয় কিন্তু বল নিয়ে অনেকখানি জায়গা নিয়ে খেলে। খুব বুদ্ধিমান ফুটবলার। কোনও দল বা ফুটবলারকে আমি খাটো করে দেখতে রাজি নই। প্রত্যেককে সমীহ করি। তবে চিন্তিত নই। আমি নিশ্চিত, নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হব। নব্বই মিনিট নয়, ১২০ মিনিটের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামব আমরা।”