AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISL, Mohun Bagan: নর্থ ইস্ট ম্যাচ জিতে ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা শোনালেন মোহনবাগান কোচ

Mohun Bagan Super Giant vs North East United FC: নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে থেকেই ব্যাকফুটে ছিল মোহনবাগান। গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে কোনওরকমে ড্র। ম্যাচ শেষে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। তাঁকে রেড কার্ড দেখানো হয়। নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে মোহনবাগান বেঞ্চে ছিলেন না ফেরান্দো। দায়িত্ব সামলান সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই গোল হজম মোহনবাগানের।

ISL, Mohun Bagan: নর্থ ইস্ট ম্যাচ জিতে 'ভয়াবহ' অভিজ্ঞতা শোনালেন মোহনবাগান কোচ
Image Credit: ISL
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2023 | 7:00 AM
Share

কলকাতা: যদি একঝাঁক প্লেয়ারের চোট না থাকতো! হয়তো এএফসি কাপ সফর এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেত না। মোহনবাগান শিবিরে এমন আপশোস হতেই পারে। এএফসি কাপকেই এ মরসুমে পাখির চোখ করেছিল মোহনবাগান। যোগ্যতা অর্জন পর্বে দারুণ পারফরম্যান্স। গ্রুপ পর্বেও শুরুটা দুর্দান্ত। যদিও সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখা যায়নি। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই এএফসি কাপে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা দারুণ শুরু করেছিল। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে রেকর্ডও গড়েছিল। কিন্তু পাঁচ জয়ের পরই ড্র। মাঝে অনেকটা সময় ভয়াবহ কেটেছে, এমনটাই জানালেন মোহনবাগানে ফেরান্দোর সহকারী ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে থেকেই ব্যাকফুটে ছিল মোহনবাগান। গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে কোনওরকমে ড্র। ম্যাচ শেষে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। তাঁকে রেড কার্ড দেখানো হয়। নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে মোহনবাগান বেঞ্চে ছিলেন না ফেরান্দো। দায়িত্ব সামলান সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই গোল হজম মোহনবাগানের। দূর পাল্লার শটে নর্থ ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফাল্গুনি সিং। সেলিব্রেশনে সামার সল্ট দেন ফাল্গুনি। মোহনবাগানের ক্ষতে সেই সামার ‘সল্ট’ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দ্রুতই সমতা ফেরানো, শেষ অবধি ৩-১ ব্যবধানে জয়।

ম্যাচের পর ফেরান্দোর সহকারী ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলেন, ‘জিতেছি, নিঃসন্দেহে খুশি। তবে একটা কারণেই খুশি নই। আমরা ভালো খেলে জিতেছি। সে কারণেই খুশির মাত্রা বেশি। ম্যাচের শুরুতেই গোল খাওয়ার পরও ছেলেরা যে ভাবে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সে কারণেও আনন্দ লাগছে। দল হিসেবে আমরা গর্বিত। এ বার সামনে তাকানোর পালা।’

পিছিয়ে পড়ে জয়ের পাশাপাশি মোহনবাগানে আরও নানা স্বস্তি। মনবীর সিং, হুগো বোমাস, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা মাঠে নেমেছিলেন। চোটের তালিকায় এখনও অনেকেই রয়েছেন। তবে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। তবে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি ভুলছেন না। ক্লিফোর্ডের কথায়, ‘যে অবস্থায় প্রস্তুতি সেরেছি তা ভয়াবহ। সপ্তাহ খানেক আগেও অন্তত ১১-১২ জনের চোট ছিল। আশিক, আনোয়ারদের তো অনেক দিনের জন্যই হারিয়েছি। আমাদের হাতে কোনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ছিল না। সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এ ভাবে ম্যাচ জেতাটা যথেষ্ঠ কৃতিত্বের।’