ভাড়া মেটানোর টাকা নেই, রানা ডগ্গুবতি ও হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
Indian Super League: বছর শেষে বিরাট বিপাকে হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। আইএসএলের (ISL) এই দলের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, হোটেলে ভাড়া মেটানোর টাকাও নেই হায়দরাবাদ এফসির। ট্রান্সফার উইন্ডোতে একাধিক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি।
জামশেদপুর: বছর শেষে বিরাট বিপাকে হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। আইএসএলের (ISL) এই দলের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, হোটেলে ভাড়া মেটানোর টাকাও নেই হায়দরাবাদ এফসির। ট্রান্সফার উইন্ডোতে একাধিক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি। কয়েকদিন আগে জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে খেলতে জামশেদপুরে গিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। জামশেদপুরের হোটেল রামাদায় ২৩টি রুম ভাড়া নিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। প্রভাত খবর এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হোটেল ভাড়া না মিটিয়ে জামশেদপুর থেকে চলে যায় হায়দরাবাদ টিম।
শোনা গিয়েছে, জামশেদপুরের হোটেল রামাদায় ২৩টি রুম ভাড়া নিয়ে বিল না মিটিয়ে চলে যায় হায়দরাবাদ টিম। জামশেদপুরের বিষ্টুপুর স্টেশনে হোটেল রামাদার পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আসলে তিন দিনের জন্য হায়দরাবাদ এফসি জামশেদপুরের হোটেল রামাদায় এক লক্ষ টাকা অগ্রিম অর্থ দিয়ে ২৩টি রুম বুক করে। ম্যাচের শেষে বকেয়া বিল না মিটিয়ে পুরো টিম হোটেল ছেড়ে চলে যায়। এরপর দলের কর্তাদের ফোনে এবং ইমেলের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরই হোটেল রামাদার জেনারেল ম্যানেজার দলের মালিক, ম্যানেজার এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
দক্ষিণী তারকা রানা ডগ্গুবতি হায়দরাবাদ ফুটবল দলের সহ-মালিক। ফলে রানার পাশাপাশি দলের ম্যানেজার এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বিজয় মাধুরী, বরুণ ত্রিপুরানেনি, নিতিন মোহন, অ্যান্টনি থমাস, সুরেশ গোপাল কৃষ্ণ, রঙ্গনাথ রেড্ডি এবং টিকে বালাজি।
২০২২ সাল থেকেই ফুটবলারদের পেমেন্ট করতে হিমসিম খাচ্ছে হায়দরাবাদ এফসি। এখনও বেশ কয়েকজন ফুটবলারদের বকেয়া রয়েছে। তার ওপর এই হোটেলের ভাড়া মেটানোর খবর চাউর হতেই আরও জটিলতা বাড়ল হায়দরাবাদ এফসিকে নিয়ে। এরই মাঝে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বকেয়া চেয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দ্বারস্থ মণিপুরি ডিফেন্ডার চিংলেনসানা। তাঁর এখনও ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাকি। জানা গিয়েছে, তা না পাওয়ার জন্য এ বার ফেডারেশনে আবেদন করেছেন মণিপুরি ডিফেন্ডার।