
দীর্ঘ ১৩ বছর পর। ভারতীয় কোচেই ভরসা দেখাল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। যদিও তাঁর জন্ম কুয়েতে। ভারতীয় দলের নতুন কোচের নাম হিসেবে খালিদ জামিলের কথা ঘোষণা করা হল অবশেষে। কাফা টুর্নামেন্ট দিয়েই যাত্রা শুরু! গত মাসেই মানোলো মার্কোয়েজের সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক হয় ফেডারেশনের। শেষ বার ২০১১-১২ মরসুমে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন এক ভারতীয় স্যাভিও মেডেরা।
ক্রোয়েশিয়ার কোচ ইগর স্টিমাচের টানা ব্যর্থতার জেরে স্প্যানিশ মানোলো মার্কোয়েজকে নিয়োগ করেছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। একদিকে তিনি আইএসএলে এফসি গোয়ার কোচ, সঙ্গে ভারতের জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছেন। উন্নতি দূর অস্ত, আরও তলানিতে ঠেকেছিল পারফরম্যান্স। গত মাসেই মার্কোয়েজকে বিদায় করে ফেডারেশন। এরপর থেকেই নতুন কোচের খোঁজ শুরু হয়। প্রচুর আবেদনের মধ্য় থেকে ৩ জনকে শর্টলিস্ট করা হয়।
ভারতীয় দলের টিম ডিরেক্টর সুব্রত পালের সঙ্গে আলোচনার পর শর্ট লিস্টেড তিন জনের মধ্যে থেকে খালিদ জামিলকে নতুন কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হল। খালিদ ছাড়াও সুনীল ছেত্রীদের কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং স্লোভাকিয়ার স্টেফান তারকোভিচ। ভারতীয় ফুটবলে আই লিগ, আইএসএলের মতো টুর্নামেন্টে দীর্ঘ সময় কোচিং করাচ্ছেন খালিদ। ভারতীয় কোচেদের মধ্যে সাফল্য়ের নিরিখে সেরা বলা যায় তাঁকেই। পাশাপাশি ফেডারেশন আর্থিক পরিস্থিতির নিরিখেও বিদেশি কোচ এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সব দিক মিলিয়ে খালিদ জামিলকেই সেরা বিকল্প মনে হয়েছে।
সামনেই সেন্ট্রাল এশিয়া ফুটবল (কাফা) টুর্নামেন্ট। সেখান থেকেই কাজ শুরু করে দেবেন খালিদ জামিল। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের প্রস্তুতি হিসেবে কাফা টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ভারত। সুনীলদের গ্রুপে রয়েছে পরবর্তী বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করা ইরান। জামশেদপুর এফসিতে খালিদের চুক্তি রয়েছে ২০২৬ অবধি। তবে মনে করা হচ্ছে, ডুরান্ড শেষ হলেই পুরোপুরি ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে নেবেন খালিদ।