Euro 2020: বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখাচ্ছেন কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি
কে বলে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখানো যায় না! ফুটবল কি শুধুই তারুণ্যের কথা বলে? বুড়োরাও ফুটবলে অপরিহার্য্য। অন্তত এই ইউরো কাপ সেই গল্পই শোনাচ্ছে।
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে! সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছেন ইউরো কাপের (Euro Cup) বুড়োরা। ইতালির (Italy) জিওর্জিও কিয়েল্লিনি (Giorgio Chiellini), লিওনার্দো বোনুচ্চি (Leonardo Bonucci) যেমন। কে বলে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখানো যায় না! ফুটবল কি শুধুই তারুণ্যের কথা বলে? বুড়োরাও ফুটবলে অপরিহার্য্য। অন্তত এই ইউরো কাপ সেই গল্পই শোনাচ্ছে।
ইউরোয় ইতালির সাফল্যের পিছনেও দুই বুড়োর গল্প। জিওর্জিও কিয়েল্লিনি আর লিওনার্দো বোনুচ্চি। ইতালির রক্ষণের দুই স্তম্ভ। জাতীয় দলের অনেক ভাঙা-গড়ার সাক্ষী এই দুই ফুটবলার। শুধু দুই বুড়োর ঝলক যদি দেখা যায়, তা হলেই মিলবে উত্তর। কিয়েল্লিনি আর বোনুচ্চির মোট বয়স ৭০। প্রথম জন ২০০৪ সাল থেকে খেলছেন জাতীয় দলে। আর দ্বিতীয় জন, ২০১০ সাল থেকে। দু’জন মিলে মোট ২১৭টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ওঁরা। তার থেকেও বড় তথ্য হল, ১১৬৮ মিনিট গোল হজম করেননি দু’জন। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
রবের্তো মানচিনির হাত ধরে নতুন ইতালির উত্থান দেখছে ফুটবলবিশ্ব। ইম্মোবাইল, ইনসিগনেরা যেমন আক্রমণ শানাচ্ছেন, রক্ষণকে নির্ভরতা দিচ্ছেন কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি জুটি। জুভেন্তাসের হয়ে একসঙ্গে খেলায় বোঝাপড়া দারুণ।
চলতি ইউরোতেও কিন্তু পিছিয়ে নেই কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি। কিয়েল্লিনি খেলেছেন ৩টে ম্যাচ। মাঠে থেকেছেন ২০৪ মিনিট। ট্যাকলে বল উদ্ধার ২১বার। বিপক্ষের শট ক্লিয়ারেন্স ১২বার। শুধু তাই নয়, দূরত্ব অতিক্রম করেছেন ২২.১ কিমি। চলতি ইউরোয় বোনুচ্চিও চমকে দিচ্ছেন। ম্যাচ খেলেছেন ৫টা। মাঠে থেকেছেন ৪৩৫ মিনিট। ট্যাকলে বল উদ্ধার ১৮বার। ক্লিয়ারেন্স ১০বার। দূরত্ব অতিক্রম করেছেন ৪২.৯ কিমি।
স্পেনের আক্রমণে একঝাঁক তরুণ। মোরাতা, তোরেস, অল্মোদের দৌড় থামাতে ভরসা সেই কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি জুটি। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ক্ষত রয়ে গিয়েছে। আজুরিদের রক্ষণ সেই পুরনো আমল থেকেই আঁটোসাটো। মালদিনি, জামব্রোতা, বারেসি, কানাভারোদের গৌরবগাথা বিশ্ব ফুটবলে আজও চর্চিত। সেই ঐতিহ্যের ভার বহন করার দায়িত্ব অনেক কঠিন। কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি দুই বুড়োর কাঁধে ভর করে ৫৩ বছর পর ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইতালি। ফুটবল এই কারণেই এত ছুঁয়ে যায় মানুষকে। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভেল্কি দেখাতে ভালোবাসেন। কিয়েল্লিনি, বোনুচ্চির মতো!
আরও পড়ুন: EURO 2020: ২৯ বছর পর বাবার মতই স্বপ্নপূরণ করতে চান ক্যাসপার!