Lionel Messi: দুই নারী… যাঁদের জন্য মেসি হয়েছেন Messi
বর্তমানে কোপা আমেরিকায় (Copa America) ব্যস্ত আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের নয়নের মণি মেসি। এলএম টেনের মেসি হয়ে ওঠা হত না, যদি তাঁর মাথার উপর না থাকত দুই নারীর হাত।
কলকাতা: লিওনেল মেসি, আবেগের অপর নাম। তিনি মাঠে নামা মানেই ফুট ফোটান। ফুটবল প্রেমীরা আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের বন্দনায় মেতে থাকেন। বর্তমানে কোপা আমেরিকায় (Copa America) ব্যস্ত মেসি (Lionel Messi)। সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের নয়নের মণি মেসি। এলএম টেনের মেসি হয়ে ওঠা হত না, যদি তাঁর মাথার উপর না থাকত দুই নারীর হাত। বলা যায়, মেসির জীবনে এমন দুই নারী রয়েছেন, যাঁদের জন্য মেসি সত্যিকার অর্থে মেসি হতে পেরেছেন।
দেখতে দেখতে জীবনের ৩৬টা বসন্ত পেরিয়ে গেলেন কাতার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আজ, ২৪ জুন লিও মেসির জন্মদিন। এমন দিনে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন মেসি। আর এই বিশেষ দিনে মেসির জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নারীর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই। ‘দুই নারী, হাতে তরবারি’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মেসির জীবনে সেই দুই নারী হলেন তাঁর মা এবং ঠাকুমা।
১৯৯৮ সালে মেসি তাঁর ঠাকুমা সেলিভা অলিভেরাকে হারিয়েছেন। কিন্তু আজও তাঁর কথা মনে করেন। তাঁর জীবনে ঠাকুমার বড় অবদান রয়েছে। মেসি অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলায় যে ক্লাবের হয়ে তিনি খেলতেন, ওই ক্লাবটির বয়স তাঁর থেকে ১ বছরের বেশি ছিল। সেই সময় মেসির বয়স ৪। জোর করে ওই ক্লাবে মেসির ঠাকুমা তাঁর খেলার ব্যবস্থা করেন। এলএম টেন এ গল্প নিজে জানিয়েছিলেন বলে, সকলে তা জানতে পেরেছেন।
বিদেশি সংবাদপত্র মিমর এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপে পেনাল্টির পর মেসি তাঁর ঠাকুমার জন্য বিড়বিড় করে কিছু বলেছিলেন। যার অর্থ, ‘আজই সেই দিন হতে পারে ঠাকুমা।’ নাতির বিশ্বজয় ঠাকুমা দেখে যেতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু মেসি তাঁর কথা জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তের সময় মনে করতে ভোলেননি।
ঠাকুমা ছাড়া মেসির জীবনে বড় অবদান থাকা আর এক নারী হলেন তাঁর মা সেলিয়া মারিয়া। রত্নগর্ভা সেলিয়া ছেলের জন্য কম ত্যাগ স্বীকার করেননি। মেসির ছেলেবেলায় তাঁর বাবা জর্জ মেসি এক কারখানাতে কাজ করতেন। আর তাঁর মা বাড়িতে সাহায্য করার জন্য পার্ট টাইম বাড়ি-বাড়ি পরিষ্কার করার কাজ করতেন। এও শোনা গিয়েছিল যে, মেসির মা এক ম্যাগনেট তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। জীবন যাপনে যত কষ্টই হোক না কেন, মেসির মা-বাবা কখনও তাঁকে ফুটবল খেলার প্রতি নিরুৎসাহ হতে দেননি। যে কারণে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মেসি আজ শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসেছেন।