UEFA Champions League: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক লিভারপুলের

৪৮ মিনিটে মিশরের রাজপুত্রের গোলে ২-২ করে ফেলে লিভারপুল। ৬৩ মিনিটে ওরিগিকে তুলে সাদিও মানেকে নামান ক্লপ (Jurgen Klopp)। ৬৯ মিনিট লিভারপুল অধিনায়ক হেন্ডারসনের (Jordan Henderson) জোরালো শট। আর তাতেই ৩-২। অ্যানফিল্ড জুড়ে তখন শুধু লাল পতাকা। লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাসে ফেটে পড়ল গ্যালারি। রোমহর্ষক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়লেন সালাহ, হেন্ডারসনরা।

UEFA Champions League: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক লিভারপুলের
দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলেন হেন্ডারসনরা। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 1:49 PM

   লিভারপুল ৩ : এসি মিলান ২ (তোমোরি আত্মঘাতী, সালাহ, হেন্ডারসন) (রেবিচ, দিয়াজ)

লিভারপুল: এমন কিছু কিছু ম্যাচ আছে, রাত জেগে দেখার পর যা সার্থক মনে হয়। এমন কিছু কিছু ম্যাচ আছে, যা দেখার জন্য বহু মাইল পথ হাঁটা যায়। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) গ্রুপ অব ডেথের ম্যাচ। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল-এসি মিলান (Liverpool Vs AC Milan) দ্বৈরথ। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে সব কিছুই দেখা গেল। গোল, পেনাল্টি মিস, কামব্যাক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘গ্রুপ বি’ অন্যান্য সব গ্রুপের চেয়ে শক্ত। একই গ্রুপে লিভারপুল (Liverpool), এসি মিলান (AC Milan), অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ (Atletico Madrid) আর পোর্তো (Porto)। চারটে হেভিওয়েট টিমই এক গ্রুপে। একটা ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করা মানে, অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া। এসি মিলানের বিরুদ্ধে লিভারপুলের কামব্যাকের ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৬ বছর আগে ইস্তানবুলের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ০-৩ পিছিয়ে থাকার পর অবিশ্বাস্য কামব্যাক করেছিলেন জেরার্ডরা। ৩-৩ করে দেওয়ার পর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে লিভারপুল। ওই ম্যাচের স্মৃতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের কাছে উদাহরণ হয়ে রয়েছে। এসি মিলানের বিরুদ্ধে সেই কামব্যাকের ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছেন হেন্ডারসনরা।

ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের (Trent Alexandar-arnold) শট এসি মিলানের ফিকাও তোমোরির গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৪ মিনিটে বাদেই ২-০ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চলে এসেছিল ক্লপের দলের কাছে। কিন্তু মোহামেদ সালাহর (Mohamed Salah) পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন এসি মিলানের গোলকিপার। প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময় মিলানের বক্সেই চাপ বাড়ালেন রবার্টসন, কেইটারা। সিমোনে কেয়াররা তখন সালাহদের চাপ সামলাতেই ব্যস্ত। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয় মোড় তখনও বাকি ছিল। ম্যাচের ৪২ মিনিটেই সমতায় ফেরে এসি মিলান। কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পেয়ে যায় ইতালির দল। রেবিচের গোলে তখন অ্যানফিল্ডের গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন মিলান সমর্থকরা। গোল হজমের ধাক্কা সমলাতে না সামলাতেই ফের গোল হজম জোয়েল মাতিপদের। ২ মিনিটের মধ্যেই রক্ষণের ভুলে ১-২ পিছিয়ে পড়ল ক্লপের দল। গোলদাতা ব্রাহিম দিয়াজ। অ্যানফিল্ডে মিলান সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে তখন রেডসদের টিকে থাকা দায়। হতবাক জুর্গেন ক্লপ থেকে ভার্জিল ভ্যান ডিক। ফুটবলে স্কোরলাইনই আসল কথা। হাফটাইমে বল পজেশন, শটস অন টার্গেট সবেতে এগিয়ে থেকেও ১-২ পিছিয়ে মাঠ ছাড়লেন সালাহরা। বিরতির পরই অন্য লিভারপুলকে দেখল অ্যানফিল্ড। প্রথমার্ধে সালাহ-ওরিগিরা যে গোল মিস করেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে সেটাকেই কাজে লাগালেন। কামব্যাকের ইতিহাসেই উদ্বুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন হেন্ডারসনরা। শুরু থেকেই মিলানের বক্সে চাপ বাড়ালেন সালাহরা। ৪৮ মিনিটে মিশরের রাজপুত্রের গোলে ২-২ করে ফেলে লিভারপুল। ৬৩ মিনিটে ওরিগিকে তুলে সাদিও মানেকে নামান ক্লপ। ৬৯ মিনিট লিভারপুল অধিনায়ক হেন্ডারসনের (Jordan Henderson) জোরালো শট। আর তাতেই ৩-২। অ্যানফিল্ড জুড়ে তখন শুধু লাল পতাকা। লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাসে ফেটে পড়ল গ্যালারি। রোমহর্ষক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়লেন সালাহ, হেন্ডারসনরা। ইংল্যান্ডের মাটিতে এসি মিলানের রেকর্ড খুবই খারাপ। ১৪ বার ইংল্যান্ডের দলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেললেও জিতেছে মাত্র ১ বার। আর সেটাও ২০০৫ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে ম্যাচ জিতলেও ২ গোল হজম করলেন গোমেজরা। যা অবশ্যই চিন্তায় রাখবে ক্লপকে। কারণ এই গ্রুপ পর্বে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, পোর্তোর বিরুদ্ধেও খেলতে হবে দিয়োগো জোটাদের।

আরও পড়ুন: UEFA Champions League: গোল নেই মেসি-নেইমার-এমবাপে ত্রয়ীর, ড্র পিএসজির