
ভুবনেশ্বর: প্রথম সারির প্রায় সব ফুটবলারকে ছাড়াই ভুবনেশ্বর সুপার কাপ খেলতে গিয়েছে মোহনবাগান। একমাত্র বিদেশি হিসেবে দলের সঙ্গে গিয়েছেন নুনো রেইস। সুপার কাপেই সবুজ-মেরুন জার্সিতে অভিষেক হয়েছে পর্তুগিজ ডিফেন্ডারের। দলের হেড কোচ হোসে মোলিনাও সুপার কাপে কোচিং করাচ্ছেন না। কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই সুপার কাপে খেলতে গিয়েছেন কোচ বাস্তব রায়। সেই দলই চমকে দিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে। পূর্ণ শক্তির কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে সেমিফাইনালে উঠেছেন সাহাল-দীপকরা। এই কেরলই প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে পূর্ণশক্তির ইস্টবেঙ্গলকে তছনছ করে দেয়। মোহনবাগানের নজরে এখন বুধবারের বিকেলের ম্যাচ। বিকেল সাড়ে চারটেয় এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। গোয়ার কোচ আবার মানোলো মার্কুয়েজ।
সন্দেশ ঝিঙ্গান, বোরহা, আয়ূষ ছেত্রী, কার্ল ম্যাকহিউ সমৃদ্ধ এফসি গোয়া কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্জাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। আইএসএলে দুরন্ত ফুটবল খেললেও ট্রফি পাওয়া হয়নি মানোলো মার্কুয়েজের। সুপার কাপকেই পাখির চোখ করেছেন বোরিস, উদান্তরা। তাই বাড়তি সতর্ক থাকছেন মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়। ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকলেও, আত্মতুষ্টি যাতে গ্রাস না করে তা সতর্ক করছেন তিনি। গোয়া ম্যাচের আগে বাস্তব বলছেন, ‘কেরলের থেকেও গোয়া অনেক শক্তিশালী দল। এ বছর বেশ ভাল ফুটবল খেলেছে। ওদের সমীহ তো করতেই হবে। কঠিন ম্যাচ। ছেলেদের সেরাটা দিতে হবে।’
সালাহউদ্দিন আদনান, সৌরভ ভানওয়াল, অমনদীপরা কেরলের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবল খেলেছিলেন। স্ট্রাইকিং ফোর্সে প্রধান অস্ত্র সুহেল ভাট গত ম্যাচে গোল করেন। অভিজ্ঞ ফুটবলার হিসেবে দলের সঙ্গে রয়েছেন সাহাল আব্দুল সামাদ, দীপক টাঙরি, গ্লেন মার্টিন্সরা। মূলত তরুণ, প্রতিভাবান ফুটবলাররাই এই দলের অস্ত্র। গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজ আবার জাতীয় দলের দায়িত্বেও আছেন। দীপেন্দু, সালাহউদ্দিনদের কাছে তাই নিজেদের প্রমাণ করার বাড়তি চ্যালেঞ্জ। শেষ কয়েক বছর ধরে আইএসএলে লিগ শিল্ড বা ট্রফি জয় কার্যত অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে মোহনবাগান। আকাশছোঁয়া সাফল্যের মাঝে সুপার কাপ খেতাব অধরাই থেকেছে। বাস্তবের হাত ধরে তারুণ্যে ভরা মোহনবাগান সেই অধরা স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায়…!
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম এফসি গোয়া, কাল বুধবার বিকেল ৪.৩০, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার