এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স টু-র প্রথম ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলেছিল মোহনবাগান। রাভশন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র হয়। এ বার ইরানের ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও ইরানের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সে কারণে এই সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা ছিলই। ইরানে খেলতে যাবে না মোহনবাগান। এএফসিকে জানিয়ে দিল বাগান ম্যানেজমেন্ট। টিমের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত। এর ফলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে মোহনবাগানকে।
ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসির বিরুদ্ধে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র ম্যাচে খেলা নিয়ে আচমকাই জটিলতা তৈরি হয়। ইজরায়েলি হানায় ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হন। ইরানে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক জারি হয়। এই অবস্থায় ইরানে মোহনবাগানের খেলতে যাওয়া নিয়ে আচমকাই সংশয় তৈরি হয়। বেঙ্গালুরু থেকে সোজা কলকাতা ফিরে আসেন শুভাশিসরা। নিরাপত্তাজনিত বিষয়টি এএফসি, এআইএফএফ আর ভারতের বিদেশমন্ত্রককে জানায় মোহনবাগান। বিদেশমন্ত্রকের পূর্ণ আশ্বাস ছাড়া ইরানে খেলতে যেতে রাজি হয়নি সবুজ-মেরুন।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে দাঁড়ায় সোমবার রাতে ম্যানেজমেন্টকে চিঠিতে মোহনবাগানের ৩৫ জন ফুটবলার সই করে জানান সুরক্ষার অভাবে তাঁরা কেউ ইরানে খেলতে যেতে চান না। এএফসিকে মোহনবাগান জানিয়ে দেয়, এই মুহূর্তে ইরানে খেলতে যাওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকেও কোনও সবুজ সংকেত আসেনি। ম্যাচটা অন্যত্র বা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছে মোহনবাগান।
এর ফলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে মোহনবাগান। এএফসির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এবং এথিক্স কমিটি পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখবে। মোহনবাগানের এক কর্তা বলছেন, ‘আমরা যদি এমনিই খেলতে যেতে না চাইতাম, তা হলে ফ্লাইট, হোটেল বুকিং করে রাখতাম না। হোটেল বুকিংয়ে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই সময় তো ইরানে খেলতে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পূর্ণ নিরাপত্তা ছাড়া ফুটবলাররাও যেতে চাইছে না। ফুটবলারদের সই সমেত চিঠি আমরা এএফসিকে পাঠিয়ে দিয়েছি।’