কলকাতা: রবিবাসরীয় ডার্বি বাতিল হয়েছে। তারপরও যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সমর্থকদের ভিড়। যুবভারতীর ৫ নং গেটের সামনে ফুটবল প্রেমীদের জমায়েত। পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদী ফুটবল প্রেমীদের বচসা। ‘বাঙাল-ঘটি এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, এই স্লোগানে মুখরিত যুবভারতী সংলগ্ন এলাকা। তিলোত্তমার হয়ে বিচার চেয়ে সরব কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা। সল্টলেক স্টেডিয়ামে পাশাপাশি হাঁটছেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকরা। বিকেল গড়াতেই তাতে যোগ দিয়েছেন মহামেডান সমর্থকরা।
যুবভারতীতে পাশাপাশি উড়ছে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ পতাকা। দুই প্রধানের সমর্থকরা স্লোগান তুলছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ একইসঙ্গে মহামেডানের সমর্থকদের স্লোগান, ‘প্রতিবাদের একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’
এর আগে এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে ফোন করে ফতোয়া জারি করেছিল বিধাননগর পুলিশ। টিভি নাইন বাংলা সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। যে অডিয়োতে শুনতে পাওয়া যায়, ‘খেলা তো বাতিল করা হয়েছে। আপনারা আসবেন না সেখানে। আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি, আসবেন না। এখানে খেলা সংক্রান্ত ব্যাপার ছিল। তা হচ্ছে না, তাই আসবেন না।’
সৌরীশ পাল নামের ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বলেন, ‘কাল আমাকে ফোন করা হয়েছিল। বিধাননগর পুলিশ বলে আপনাদের একটা পোস্ট দেখলাম। যুবভারতীতে আসবেন না। খেলা বাতিল হয়েছে। তাই আসবেন না। বাঙালির বড় ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকদের পুলিশের হুমকি দমাতে পারবে না। পুলিশের হুমকিকে ভয় পেলে চলবে না। আমরা যাব। প্রতিবাদ করব।’
সেই লাল-হলুদ সমর্থক রবি-বিকেলে হাজির যুবভারতীতে। সেখান থেকে সৌরীশ বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য ডার্বি বাতিল বলা হয়েছে। এখানে যে এত পুলিশ। তা হলে তো এই পুলিশ দিয়ে ডার্বি আয়োজন করা যেত। আমাদের ২০০ মিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়েছিল। আমরা তো ২ কিলোমিটার সরে এসেছি।’