প্যারিস: ভয়াবহ ঘটনার মুখে পড়লেন প্যারিস সাঁজার (Paris Saint Germain) দুই তারকা ফুটবলার অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া (Angel Di Maria) ও মারকুইনহোস। রবিবার নানতেসের বিরুদ্ধে যখন ম্যাচ খেলছেন দু’জন, তখন তাঁদের বাড়িতে বড়সড় ডাকাতি হয়। মারকুইনহোসের বাবা-মার বাড়িতে চুরির পর চোররা বেরিয়ে গেলেও দি মারিয়ার পরিবার বিপদের মুখে পড়েছিল। মারিয়ার পরিবারকে বন্দিও করে রাখে ডাকাতরা।
ফুটবলে এমন ঘটনা এর আগে কখনও বোধহয় হয়নি। রবিবার ফরাসি লিগের ম্যাচ চলাকালীন দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে মাঠ থেকে উঠে যান আনখেল দি মারিয়া। প্রথমে ভাবা হয়েছিল প্যারিস সাঁজার ফুটবলারকে বোধহয় প্রয়োজন মতো তুলে নিয়েছিলেন কোচ মোরিসিও প্রোচেত্তিনো। কিন্তু ঘটনা অন্য, বাড়িতে ভয়াবহ চুরির জন্য তড়িঘড়ি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আর্জেন্তিনার ফুটবলার।
কী ঘটেছে, প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না। মাঠ থেকে বেরিয়ে এসে ডাগআউটে না বসে সরাসরি টানেল দিয়ে নেমে চলে যান দি মারিয়া। কিছু পরে পিএসজি কোচও চলে যান ড্রেসিংরুমে। ততক্ষণে ফোনে কথা বলে নেওয়া হয় স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দোর সঙ্গে। পরে প্রোচেত্তিনোই পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার করেন। বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। প্লেয়ারদের কাছে সেটা অনেক সময় ফুটবলের উর্ধ্বেও চলে যায়।’
আরও পড়ুন: সমালোচনার জবাব রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে
নানতেসের কাছে পিএসজি হেরে যায়। প্রোচেত্তিনো বলেছেন, ‘কোনও অজুহাত দিচ্ছি না। কিন্তু ওই ঘটনাটা শোনার পরই টিমের মনোবলে ধাক্কা লেগেছিল। আমরা তখন ফুটবল নয়, ওই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছি।’
এমন ঘটনার মুখে এই প্রথম নয়, এর আগেও পড়েছেন দি মারিয়া। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়ও তাঁর বাড়িতে বড়সড় ডাকাতি হয়েছিল। ওই ঘটনা গভীর প্রভাব ফেলেছিল তাঁর পরিবারে। যে কারণে ম্যাঞ্চেস্টার ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। পিএসজির হয়ে খেলার সময় আবার সেই ঘটনা। আগের ঘটনার থেকেও এই ঘটনার গভীরতা এবং ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি। মারকুইনহোসের বাড়িতেও চুরি হলে তা দি মারিয়ার মতো বড়সড় ঘটনা নয়।
দি মারিয়ার পরিবারের ঘটনা নিয়ে পুলিশ দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে। পিএসজির কর্তারাও এই ঘটনা কেন ঘটল, তা জানতে দ্রুত আসরে নেমে পড়েন। তবে এখনও ওই ব্যাপারে কোনও তথ্য পুলিশ জানায়নি।