AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Neymar: হাত ছাড়ল আল হিলাল, পেলের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার!

Al Hilal-Satos: আর নেইমারে আস্থা রাখতে পারল না আল হিলাল। ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারকে ট্রান্সফার উইন্ডোতে ছেড়েই দিল সৌদির ক্লাব। আল হিলাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য নেইমারকে ধন্যবাদ। বাকি কেরিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

Neymar: হাত ছাড়ল আল হিলাল, পেলের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার!
Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2025 | 4:24 PM
Share

কলকাতা: মাত্র সাতটা ম্য়াচের মেয়াদ। তাও শেষ হল! দু’পক্ষের সম্মতিতে সরকারি বিচ্ছেদ নেইমার ও আল হিলারের। ২০২৩ সালে বিপুল অর্থের বিনিময়ে যোগ দিয়েছিলেন সৌদি লিগের জনপ্রিয় টিমে। কিন্তু চোটের কারণে একটা বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়। চোট সারিয়ে ফিরেও ছিলেন। তাও খেলতে পারেননি। আবার চোট পেয়ে যান। বয়স যত বাড়ছে, চোট প্রবণতা বাড়ছে। তাই আর নেইমারে আস্থা রাখতে পারল না আল হিলাল। ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারকে ট্রান্সফার উইন্ডোতে ছেড়েই দিল সৌদির ক্লাব। আল হিলাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য নেইমারকে ধন্যবাদ। বাকি কেরিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

প্রশ্ন হল, নেইমার কোন ক্লাবে খেলবেন? শোনা যাচ্ছিল, তিনি নাকি ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেসির টিম ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে চলেছেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও স্রেফ গুঞ্জনই ছিল। জনপ্রিয় ফুটবল সাংবাদিক ফাব্রিজ়িও রোমানোর খবর অনুযায়ী, নেই আবার ছেলেবেলার ক্লাব স্যান্টোসেই ফিরছেন। ব্রাজিলের জনপ্রিয় ক্লাব তো বটেই, পেলেরও এক সময় ঠিকানা ছিল, সেই ক্লাবের জুনিয়র টিম থেকে উত্থান নেইমারের। সিনিয়র টিমেও খেলার সুযোগ পেয়ে যান দ্রুত। তখন থেকেই বিশ্ব ফুটবলের নজরে ছিলেন নেইমার। স্যান্টোস থেকেই ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন। তার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অর্থ, খ্যাতি— সব পেয়েছেন। কিন্তু চোট বরাবরই সঙ্গী থেকেছে তাঁর। পেশাদার ফুটবলে বেশি মাত্রায় চোট প্রবণ হওয়ার কারণেই নেইমারের ক্যারিশমা কমতে থাকে। বার্সেলোনায় ৪টে মরসুম খেলার পর প্যারিস সাঁ জ্যঁ-তে রেকর্ড অর্থে যোগ দেন। সেখান থেকে ২০২৩ সালে আসেন সৌদি লিগে।

ব্রাজিলের হয়ে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। তার জন্য একটা বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়। আল হিলাল কিন্তু তাঁকে সময় দিয়েছিল। ক্লাব কর্তারা ভেবেছিলেন, চোট সারিয়ে তিনি স্বমহিমায় ফিরবেন। দলের সঙ্গে কিছুদিন আগে যোগও দেন। কিন্তু সেই নেইমারকে আর দেখা যায়নি। ক্লাবের কোচ জর্জে জেসাস হতাশা নিয়ে নেইমার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ও আর বড় মঞ্চে খেলার মতো জায়গায় নেই। দুর্ভাগ্যের হলেও পরিস্থিতি আর পক্ষে নেই।’ এর পর থেকেই নেইমারের বদলি খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন কর্তারা।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, আর কি ব্রাজিলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে নেইমারকে? তিনি কিন্তু আর একবার ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চান। সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে বলেওছেন, ‘আমি খুব ভালো করে জানি, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার শেষ কিছু শট। শেষ সুযোগটাকে আমি সর্বস্ব দিয়ে কাজে লাগাতে চাই। বিশ্বকাপে খেলতে চাই আর একবার।’ পেলের রেকর্ড ভেঙে ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা গোল স্কোরারের স্বপ্নপূরণ হবে। তাঁৎ স্কিল বা ফর্ম নয়, চোটই সবচেয়ে বড় বাধা নেইমারের।